প্রতীকী ছবি।
যেন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ!
অট্টহাস্য করে ৬ জন মিলে এক কিশোরীর জামাকাপড় টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা করছে। নিজেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সেই কিশোরী। হাত, পা ছুড়ছেন। অসহায় ভাবে আর্তনাদ করছেন। ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার করে যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছেন নিজের মর্যাদা, সম্ভ্রম রক্ষার।
কিন্তু আশপাশের কেউ ওই কিশোরীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসছেন না। তাতে আরও বেশি করে হাসিতে ফেটে পড়ছে দুষ্কৃতীরা। শুরু করে দিয়েছে নাচানাচিও। কিশোরীকে শূন্যে তুলে তাঁর জামাকাপড় টেনে খুলে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
আর ওই অবস্থায় কিশোরীর সাহায্যে এগিয়ে না এসে একটু দূরে দাঁড়িয়ে একুশ শতকের ওই বস্ত্রহরণের গোটা ঘটনা কেউ এক জন তাঁর মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরায় তুলে রাখেন। পরে সেই ভিডিও পোস্ট করে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় হওয়ার পর ঘুম ভাঙে পুলিশের। রবিবার হাতে আসা সেই ভিডিওর ভিত্তিতেই পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘পস্কো’ আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- যৌন নিগ্রহ পাপ নয়, মনে করত আসারাম
আরও পড়ুন- ৫০টি ধর্ষণ ও ১২টি খুন, সিরিয়াল কিলার ধৃত চার দশক পরে
ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সবাই কিশোর। তাদের এক জনের একটি মোটরবাইকও দেখা গিয়েছে সেই ভিডিওয়।
কাঠুয়া, উন্নাও, সুরাত, দিল্লি সহ একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে গোটা দেশ যখন তোলপাড়, তখন বিহারের জেহানাবাদের একটি গ্রামের রাস্তায় প্রকাশ্যে, দিবালোকে ঘটা ওই ঘটনা আরও এক বার মহাভারতে দ্রৌপদীর সেই বস্ত্রহরণের ছবিটাই মনে পড়িয়ে দিল!
ওই ভিডিওয় আরও দু’জনকে দেখা গিয়েছে, পুলিশ এখনও পর্যন্ত যাদের হদিশ পায়নি। ওই দু’জনের খোঁজে পুলিশ গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে।
প্রবীণ পুলিশ কর্তা নায়ার হাসনাইন খান তদন্তের ভার দিয়েছেন পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনীর হাতে। যে মোবাইল ফোনে ওই ভিডিও তোলা হয়েছে, পুলিশ সেটাও আটক করেছে।