বিলাস মুত্তেম্বর (বাঁ দিকে) ও নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল ছবি
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, নেতাদের পরিবারকে টেনে আক্রমণের প্রবণতা যেন ক্রমেই বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাকে নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন রাজ বব্বর। এবার তাঁর পিতৃ পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিলাস মুত্তেম্বর। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সাংসদ সরাসরিই বললেন, ‘‘কেউ জানে না, প্রধানমন্ত্রীর বাবার নাম কী?’’
টুইটারে পোস্ট হওয়া একটি ভিডিয়ো-তে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর বংশ পরিচয়ের সঙ্গে মোদীর তুলনা করেছেন মুত্তেম্বর। বলেছেন, ‘‘সারা বিশ্ব জানে রাহুল গাঁধীর বাবার নাম কী, ঠাকুমার নাম কী। কিন্তু মোদীর বাবার নাম কী, সেটা কেউ জানেন না।’’
এর পর আরও ব্যাখ্যা দিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্য, এমনকি, রাহুল রাজনীতিতে আসার আগেই সবাই জানত, রাহুলের বাবার নাম রাজীব গাঁধী, ঠাকুমা ইন্দিরা গাঁধী এবং ঠাকুমার বাবা ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, তাঁর বাবার নাম মতিলাল নেহরু। এক লাইনে পাঁচ পুরুষের নাম জানে সবাই। কিন্তু এই নরেন্দ্র (মোদী)! আজ পর্যন্ত কেউ জানে না তাঁর বাবা কে ছিলেন।’’
আরও পড়ুন: আলিকে রাখুন আপনারা, আমাদের বজরংবলীই যথেষ্ট: যোগী
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইটারে এই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন। তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে নিন্দাও। অন্য দিকে, ওই পোস্টেই এই ধরনের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন মালব্য।
আরও পড়ুন: ‘ভোটের আগে রামরাম, ভোটের পর আরাম’, অযোধ্যায় বিজেপিকে তোপ শিবসেনার
কিছু দিন আগেই ছত্তীসগঢ়ে ভোট প্রচারে গিয়ে মোদী চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন, পাঁচ বছরের জন্য গাঁধী পরিবারের বাইরের কাউকে সভাপতি করে দেখাক কংগ্রেস। এই নিয়েবাগযুদ্ধ চরমে ওঠে। এর পর কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর আবার ৯৮ বছরের যশোদা বেনকে টেনে বলেন, টাকার পতন মোদীর মায়ের বয়সের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। শনিবার তার জবাবে মোদী বলেন, কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে তাঁর মাকে টেনে আনছে। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের এই পারিবারিক আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের মধ্যেই এবার মোদীর বাবাকেও টেনে আনলেন মুত্তেম্বর।
ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।