Parliament

মৌখিক প্রশ্নোত্তর বাতিলই সংসদে

মন্ত্রীদের মৌখিক উত্তর থেকে অনেক তথ্য উঠে আসত এবং তা সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:৫১
Share:

ফাইল চিত্র।

দীর্ঘ ছ’মাস পরে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হলেও তাকে ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত। গত কালই কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সদস্যরা সরব হয়েছিলেন, সরকারের প্রশ্নোত্তর পর্ব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ঘিরে। বলা হয়েছিল, বিরোধীদের প্রশ্ন করার সংসদীয় অধিকারটুকুও কেড়ে নিচ্ছে মোদী সরকার। মন্ত্রীরাও অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

Advertisement

কাল রাজধানীতে এই নিয়ে দিনভর তরজার পর সরকার তার সিদ্ধান্ত কিছুটা বদল করেছে। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী আজ জানিয়েছেন, সাংসদদের লিখিত প্রশ্নের লিখিত জবাব দেবে সরকার। তবে অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে রাজ্যসভা এবং লোকসভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা মৌখিক প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন না। ফলে কার্যত সকালের এক ঘণ্টা মৌখিক প্রশ্নোত্তর-পর্ব বাতিলই থাকছে।

ফলত ফের সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি টুইট করে বলেছেন, সরাসরি মৌখিক প্রশ্ন এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। মন্ত্রীদের মৌখিক উত্তর থেকে অনেক তথ্য উঠে আসত এবং তা সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হত। তৃণমূল বিষয়টির জবাবদিহি চেয়েছে সরকারের কাছে।

Advertisement

আসন্ন অধিবেশনে বয়স্ক সাংসদরা আসবেন কি না, তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয়ের অবকাশ রয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান প্যানেলের সদস্য সুখেন্দুশেখর রায় সম্প্রতি চিঠি লিখে ছুটি চেয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘আমার বয়স ৭১ এবং আমি এই মুহূর্তে কলকাতায় আমার বাড়িতে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ২৯ অগস্ট প্রকাশিত নির্দেশিকায় প্রোটেকশন অব ভালনারেবল পার্সনস সংক্রান্ত ধারা অনুযায়ী আমি ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অধিবেশনে যোগ দিতে পারছি না।’ শুধু সুখেন্দুশেখর একা নন, সূত্রের খবর, অনেক বয়স্ক সাংসদই ঝুঁকি নিয়ে দিল্লি এসে প্রতিদিন অধিবেশনে যোগ দেবেন না বলে মনে হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, যে সব মন্ত্রীর বয়স হয়েছে, তাঁরাই বা কী ভাবে আসবেন? এমনও শোনা যাচ্ছে, অনেক রাজনৈতিক দলই আগের মতো তাদের সংসদীয় অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করবে না। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য ভিডিয়ো সম্মেলনকেই বেছে নেওয়া হতে পারে। এ দিনই মন্ত্রক নিয়মবিধি জারি করে জানিয়েছে, অধিবেশনে যোগ দিতে হলে সব সাংসদকে তাঁদের পরিবারের সদস্য, ব্যক্তিগত সচিব-সহ অন্য কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। ফল পজ়িটিভ হলে ১৪ দিন কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। সাংবাদিকদেরও একই নিয়ম মানতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন