রাহুল গাঁধী।
ঝাঁ চকচকে নতুন দফতর বিজেপি’র। দেওয়াল, আসবাবে নতুন রং-এর গন্ধ। সেখানেই হওয়ার কথা সাংবাদিক বৈঠক। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের ২০ মিনিট পরে এসে মোদী সরকারের আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বললেন, ‘‘কী আর হবে সাংবাদিক বৈঠক করে! চলুন, আড্ডা মারি।’’
সকালেই রাহুল গাঁধী টুইটে অমিত শাহকে বিঁধে ফের খুঁচিয়ে তুলেছেন বিচারক লোয়ার মৃত্যু প্রসঙ্গ। সোহরাবুদ্দিন মামলায় যে বিচারপতি সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁকে বদলি করা নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
রাহুলের টুইট দেখে বিজেপি ভেবেছিল, এ বার বুঝি কংগ্রেস ফের আক্রমণাত্মক হচ্ছে। রাহুলের ‘মিথ্যা’ ফাঁস করতে তাই সক্রিয় হয়ে ওঠে নরেন্দ্র মোদীর দল। কিন্তু শ্রীদেবীতে ঢাকা পড়ে গিয়েছে যাবতীয় রাজনৈতিক প্রচার। সারাদিনে দাগ কাটল না রাহুলের আক্রমণ। দলীয় সভাপতি নিশানা হওয়ার পরেও তা
ই আজকের মতো ছেড়েই দিল বিজেপি। নেতারা বলছেন, ‘‘পরে হবে। এখন যা অবস্থা, কালও গণমাধ্যম জুড়ে থাকবেন শ্রীদেবীই। শুক্রবার আবার হোলি।’’
অতএব রাজনীতি এখন ছুটিতে!
বিজেপি’র সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অধিকাংশ মন্তব্যে না দল তেমন গুরুত্ব দেয়, না দেন বিরোধীরা। সকালে তিনি শ্রীদেবীর মৃত্যুকে ‘খুন’ বলে দিলেন। সম্পর্ক খুঁজলেন দাউদের সঙ্গে। কিন্তু কংগ্রেসও এসবে পাত্তা দিল না। রাহুলের পাশাপাশি দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা নীরব মোদী, পিএনবি নিয়ে টুইট করলেন ঠিকই। তবে কংগ্রেসও বুঝল, এখন এসবের আসল সময় নয়। নীরব-দুর্নীতি সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য হাতে নিয়ে বসে আছে কংগ্রেস। কিন্তু আক্রমণের সুযোগ পাচ্ছে না বলে সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করল তারাও। দলের অনেকেরই সন্দেহ, শ্রীদেবীকে নিয়ে টানা রহস্য জিইয়ে রাখার পিছনে বিজেপির হাত নেই তো?
নীরব কেলেঙ্কারি আপাতত প্রচারের আলোর বাইরে যাওয়ায় খুশি বিজেপি। আগামিকাল বিজেপি শাসিত মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করার কথা নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের। আগে স্থির ছিল, গোটা দিন ধরে বৈঠক হবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও থাকবেন দিনভর। এখন শ্রীদেবী-ময় পর্বে কাটছাঁট করা হয়েছে বৈঠকের সময়। বৈঠক শুরু হবে বিকেলে। কয়েক ঘণ্টা আলোচনা করেই তা শেষ করা হবে দ্রুত।