CBSE

ইতিহাসে লেখা থাক ভাল দিক, চায় পরীক্ষার্থীরা

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা চার দিন হিংসার আগুনে জ্বলেছে রাজধানীর উত্তর-পূর্বাংশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ০৬:০৭
Share:

ছবি: পিটিআই।

সাম্প্রদায়িক হানাহানি নয়, দিল্লির ভাল দিকটাই লেখা থাক ইতিহাসে। আজ সিবিএসই-র ইতিহাস পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে এক কথাই বলল পরীক্ষার্থীরা। ঘটনাচক্রে, তারা হিংসাদীর্ণ উত্তর-পূর্ব দিল্লিরই বাসিন্দা।

Advertisement

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা চার দিন হিংসার আগুনে জ্বলেছে রাজধানীর উত্তর-পূর্বাংশ। সেই হিংসা যেমন প্রাণ কেড়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে, তেমনই ওলটপালট করে দিয়েছে ওই এলাকার নাগরিক জীবন। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে এখনও কড়া নিরাপত্তা। তার মধ্যেই আজ ওই এলাকার স্কুলগুলির গেটে উদ্বিগ্ন মা-বাবাদের ভিড়। ভিতরে তাঁদের সন্তানেরা ইতিহাস পরীক্ষা দিচ্ছে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে আজ সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৯৮.৩৩ শতাংশ ছিল বলে বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে।

জ়াফরাবাদের জাকির হুসেন মেমোরিয়াল স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসা এক পড়ুয়া বলেছে, ‘‘রাজধানীর কী ভয়াবহ অবস্থা। কী পরিস্থিতিতে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিলাম, তা আজীবন মনে রাখব।’’ নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থীর কথায়, ‘‘পরীক্ষার জন্য যে ইতিহাস পড়ি, তা আমার কাছে প্রাসঙ্গিক নয়। এখন যে ইতিহাস তৈরি হচ্ছে, তা ভয়ঙ্কর। আমি মনে করি, হিংসা-অশান্তি নয়, রাজধানী এবং দেশের ভাল দিকটাই ইতিহাসে লেখা থাকবে।’’

Advertisement

কোন পরিস্থিতির মধ্যে তাদের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে, তা গোপন করেনি নিউ জ়াফরাবাদের গভর্নমেন্ট কো-এড সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের
ছাত্রী সীমা যাদব। সে বলেছে, ‘‘এই অবস্থায় পড়ায় কোনও মনোযোগই দিতে পারিনি। শুধু আমি নই, বন্ধুদেরও একই অবস্থা। ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য পরীক্ষা জরুরি।
আশা করি, আমরা বড় হয়ে আরও ভাল ও নিরাপদ দিল্লি তৈরিতে ভূমিকা নিতে পারব।’’ দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে সীমার কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে রূপা দেবী নামে এক অভিভাবকের গলায়।
মুস্তফাবাদের গভর্নমেন্ট বয়েজ সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘চার দিকে এত পুলিশ। এখনও চাপা উত্তেজনা। আমার কেমন ভয় ভয় করছে। তা হলে বুঝুন ছোট ছেলেমেয়েগুলির মানসিক অবস্থা কেমন। কী ভাবে তারা পরীক্ষা দিচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন