নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী ও বাঙালি সংগঠনগুলির ডাকা গণ-সমাবেশের বিরোধিতায় বিভিন্ন অসমীয়া সংগঠনের ডাকা বন্ধে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা পুরোপুরি অচল হয়ে গেলেও বাঙালি অধ্যুষিত বরাকের জীবনযাত্রা স্বাভাবিকই রইল। কড়া সরকারি নির্দেশের পরেও সকাল থেকে খুলল না ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার কোনও দোকানপাট। রাস্তায় নামল হাতেগোনা গাড়ি। চলল রেল অবরোধ। বন্ধ থাকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, পেট্রল পাম্পও। বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দিতে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি রেল অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের হঠিয়ে দেয়। আজ সারা রাজ্যে শতাধিক অবরোধকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল চূ়ড়ান্ত হওয়া নিয়ে এত জল্পনা তা আজকের যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) বৈঠকে চূড়ান্ত করা যায়নি মূলত বিরোধীদের প্রতিরোধে। বিজেপি চায় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পাশ করাতে। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যরা জোটবদ্ধ হয়ে আজ তা আটকান। বিষয়টি নিয়ে সরব ছিলেন কংগ্রেসের সুস্মিতা দেব, অধীর চৌধুরী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায়। সুস্মিতা বলেন, এতে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সঙ্গে বরাকের মানুষের দূরত্ব ও বিভেদ বাড়বে। অধীর চৌধুরীর বক্তব্য ছিল, এই বিল সংবিধানের ৪২ তম সংশোধনীর বিরোধী। সৌগত রায় প্রস্তাব দেন, বিলটি থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়া যেতে পারে। তবে বৈঠকের পর বিরোধীদের আশঙ্কা, সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে জেপিসির পরবর্তী বৈঠকে বিলটিকে অনুমোদন করিয়ে সংসদে পাঠাবে বিজেপি।
শিলং বা কাজিরাঙা বেড়াতে আসা পর্যটকদের যাঁদের আজ টিকিট ছিল তাঁদের সিংহভাগই হোটেল বুকিং বাতিল করে আজ ভোর থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে বসে থাকেন। বাকি পর্যটকরা হোটেল-বন্দি ছিলেন।