Madhya Pradesh Student Death

দুই আঙুলের মাঝে পেন রেখে চাপ! ক্লাসেই ‘মারধর’, খাতায় শিক্ষকের কীর্তি লিখে আত্মঘাতী ছাত্রী, দিল্লির পর মধ্যপ্রদেশ

স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে আত্মঘাতী হয়েছে এক ছাত্র। মধ্যপ্রদেশ থেকেও অনুরূপ খবর এল। সুইসাইড নোটে এক শিক্ষকের নাম লিখে গিয়েছে সে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:২৩
Share:

মধ্যপ্রদেশের স্কুলে শিক্ষকের হেনস্থার পর আত্মঘাতী কিশোরী। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

দিল্লির পর মধ্যপ্রদেশ। ক্লাসে মারধর, হেনস্থার অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী হল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। মৃত্যুর চার দিন পর তার স্কুলের খাতার মধ্যে থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সে কথা প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, স্কুলে হেনস্থাকারী শিক্ষকের নাম খাতায় লিখে গিয়েছে ওই ছাত্রী।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার একটি স্কুলে পড়ত ১৭ বছরের কিশোরী। গত ১৬ নভেম্বর নিজের ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, বাড়িতে একেবারে স্বাভাবিক ছিল কিশোরী। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার মতো কোনও ঘটনাই ঘটেনি। স্কুলে তার উপর অত্যাচার করা হয়েছে বলে মনে করছেন পরিবারের সদস্যেরা। ছাত্রীর ফোনকলের রেকর্ড খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছেন তাঁরা। স্কুলের সহপাঠীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সত্য উদ্‌ঘাটন করা যেতে পারে, মত পরিবারের।

তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার কিশোরীর ঘরে তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় সুইসাইড নোট। তাতে কিশোরী লিখেছে, স্কুলের এক পুরুষ শিক্ষক তাকে মারধর করেছেন। তার হাতের দুই আঙুলের ফাঁকে একটি পেন রেখে চাপ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, শাস্তির এই ধরনেই কিশোরী অপমানিত বোধ করেছিল। সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষও এখনও মুখ খোলনি।

Advertisement

সম্প্রতি দিল্লির এক নামী স্কুলের পড়ুয়া ১৬ বছরের শৌর্য পাটিলের আত্মহত্যায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। রাজেন্দ্র প্লেস মেট্রো স্টেশনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্র। সুইসাইড নোটে সে-ও স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে। অভিযোগ, তার চেহারা নিয়ে নানা ভাবে তাকে কটাক্ষ করা হত। বলা হত, ‘‘যত খুশি কাঁদো।’’ মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল সে। সহপাঠীরাও সে কথা জানিয়েছেন তদন্তকারীদের। এই ঘটনায় স্কুলের প্রধানশিক্ষক-সহ চার শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছেন কর্তৃপক্ষ। অনুরূপ ঘটনা এ বার মধ্যপ্রদেশেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement