গো-রক্ষা কর্মসূচির মাহাত্ম্য নষ্ট করছে হিংসাত্মক ঘটনা, বললেন সরসঙ্ঘচালক। —ফাইল চিত্র।
গোটা দেশে গো-হত্যা বন্ধ করার ডাক দিলেও, গো-রক্ষার নামে হিংসার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। গো-রক্ষার নামে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হলে বিষয়টির মাহাত্ম্যই নষ্ট হয়— মন্তব্য ভাগবতের। মহাবীর জয়ন্তী উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন তিনি। সেই ভাষণেই গো-রক্ষার নামে হিংসা বন্ধ করা ডাক দিয়েছেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বিপুল জয়ের পর গো-রক্ষা এজেন্ডায় আরও জোর দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করতে জোরদার অভিযানে নেমেছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনিক অভিযানের পাশাপাশি বেশ কিছু এলাকায় আইন হাতে তুলে নিয়েছেন কট্টরবাদীরাও। অতি উৎসাহী বিজেপি সমর্থকরা বেশ কিছু কসাইখানা জোর করে বন্ধ করে দিয়েছেন। শুধু উত্তরপ্রদেশে সীমাবদ্ধ থাকেনি এই সব হিংসাত্মক ঘটনা। অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রবণতা। রাজস্থান অলওয়র জেলায় এক মুসলিম ডেয়ারি ব্যবসায়ী এবং তাঁর সঙ্গীরা স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের গণপ্রহারের সম্মুখীন হয়েছেন। দেশ জুড়ে তা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
আরও পড়ুন: রামমন্দির গড়তে বাধা দিলে মাথা কেটে নেব, মন্তব্য বিজেপি বিধায়কের
ঠিক এই পরিস্থিতিতেই মুখ খুললেন সরসঙ্ঘচালক। বললেন, ‘‘গো-রক্ষার নামে যে কোনও ধরনের হিংসাই আমাদের উদ্দেশ্যের মানহানি ঘটাচ্ছে, আইন অবশ্যই মেনে চলতে হবে।’’ অর্থাৎ, মোহন ভাগবতের বার্তা, গো-হত্যা বন্ধ করতে যা পদক্ষেপ নেওয়ার, তা প্রশাসন নেবে। সাধারণ মানুষ যেন আইন হাতে তুলে না নেন। তবে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার দাবি থেকে তাঁরা যে সরে আসেননি, তা ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভাগবত। বলেছেন, ‘‘আমরা চাই সারা দেশে গো-হত্যা বন্ধ করার জন্য আইন হোক।’’