লক্ষ্য সংসদ, গঢ়বাল চষছেন ডোভাল-পুত্র

যদিও আর পাঁচ জন সাধারণ বিজেপি কর্মী-নেতার থেকে আলাদা শৌর্য। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ছেলে তিনি। শৌর্য ডোভাল।মাস কয়েক আগে খোদ রাহুল গাঁধী শৌর্যর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিলেন। শৌর্যর ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’-এ যে সব দেশি-বিদেশি সংস্থা থেকেই অর্থ আসে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে সম্পর্ক আছে তাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৭
Share:

শৌর্য ডোভাল

সাদা পাজামা-পঞ্জাবির ওপরে জওহর কোট পরে কয়েক মাস ধরে উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ি রাস্তা চষে বেড়াচ্ছেন শৌর্য।

Advertisement

রাস্তার ধারে ধারে যে ভাবে তাঁর ছবি দিয়ে বড় বড় পোস্টার লাগানো হয়েছে, স্পষ্ট লোকসভা ভোটেরই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সদ্য গত নভেম্বরে উত্তরাখণ্ড বিজেপির কর্মসমিতিতে তাঁকে সামিল করা হয়েছে। ছ’মাসেই অনেকটা আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন।

যদিও আর পাঁচ জন সাধারণ বিজেপি কর্মী-নেতার থেকে আলাদা শৌর্য। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ছেলে তিনি। শৌর্য ডোভাল।

Advertisement

মাস কয়েক আগে খোদ রাহুল গাঁধী শৌর্যর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিলেন। শৌর্যর ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’-এ যে সব দেশি-বিদেশি সংস্থা থেকেই অর্থ আসে, নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে সম্পর্ক আছে তাদের। আর প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু, জয়ন্ত সিন্‌হা থেকে হরদীপ সিংহ পুরীর মতো মোদী-মন্ত্রীরা জ্বলজ্বল করছে সেই ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন’-এর ওয়েবসাইটে। তাঁরা সকলেই এই সংগঠনের গভর্নর বোর্ডের তালিকায়।

লন্ডন বিজনেস স্কুল আর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করা শৌর্য এখন নেতার ভূমিকায়। ‘বেমিসাল গঢ়বাল’ ও ‘বুলন্দ গঢ়বাল’ নামে দুটি অভিযান শুরু করেছেন। ঘুরছেন গ্রামে গ্রামে। বিজেপি সূত্রের মতে, পৌড়ী গঢ়বাল কেন্দ্রেই ডোভালদের আদি ভিটে। সেই কেন্দ্র থেকেই লড়তে চাইছেন তিনি। তবে ঠিক, এখনও এই বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়নি।

শৌর্য নিজে অবশ্য বলেছেন, লোকসভা ভোটে লড়বেন কি না জানেন না। তবে উত্তরাখণ্ডকে ঢেলে সাজার জন্য এই অভিযান চালানো জরুরি। কিন্তু শৌর্য নিজে যাই বলুন, উত্তরাখণ্ডের পথে পথে এখন তাঁরই পোস্টার। সেখানে তাঁর অভিযানের কথা জানিয়ে দু’টি নম্বরও দেওয়া রয়েছে। যার মধ্যে একটিতে ‘মিস্‌ড কল’ দিলে অভিযানে যোগ দেওয়া যাবে। আর একটি নম্বরে ফোন করলে জানা যাবে অভিযানের ইতি-বৃত্তান্ত।

কংগ্রেসের এক নেতার অবশ্য মন্তব্য, অজিত ডোভালের নীতি এমনিতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাঁর ছেলের রাজনীতিতে আসাটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু বিজেপিই সব সময়ে কংগ্রেসকে পরিবারতন্ত্রের খোঁটা দেয়। অথচ কেন্দ্রীয় স্তর থেকে রাজ্য স্তরে বিজেপিতেও পরিবারতন্ত্র কম নয়। সে বসুন্ধরা রাজের ছেলেই হোন বা অনুরাগ ঠাকুর, কিংবা জয়ন্ত সিন্‌হা। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের ছেলেও যোগ দিচ্ছেন রাজনীতিতে। সেই পরিবারতন্ত্রেই আর একটি পালক যোগ করতে চলেছেন অজিত ডোভালের ছেলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন