নাগাল্যান্ড ছাড়তে হচ্ছে এয়ারটেলকে

জঙ্গি হুমকির জেরে নাগাল্যান্ডে বড় সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে এয়ারটেল। এনএসসিএন-খাপলাং জঙ্গিগোষ্ঠী রাজ্যে এয়ারটেলের পরিষেবাই শুধু বন্ধ করেনি, সব পরিকাঠামো গুটিয়ে রাজ্য ছেড়ে এয়ারটেলকে চলে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৫ ০৩:০৫
Share:

জঙ্গি হুমকির জেরে নাগাল্যান্ডে বড় সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে এয়ারটেল। এনএসসিএন-খাপলাং জঙ্গিগোষ্ঠী রাজ্যে এয়ারটেলের পরিষেবাই শুধু বন্ধ করেনি, সব পরিকাঠামো গুটিয়ে রাজ্য ছেড়ে এয়ারটেলকে চলে যাওয়ার আদেশ দিয়েছে। রাজ্য থেকে পাততাড়ি গোটাবার জন্য এক মাস সময় দিয়েছে জঙ্গিরা। সময়সীমা পার হওয়ার পরে জঙ্গিরাই এয়ারটেলের সব টাওয়ার, দফতর গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করবে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে খাপলাং গোষ্ঠী।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরে মোটা টাকা তোলা নিয়ে সংস্থার সঙ্গে জঙ্গিদের চাপান-উতোর চলছিল। এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় হো হো ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করে। ক্ষিপ্ত জঙ্গিগোষ্ঠীটি বিবৃতি পাঠিয়ে বলে, এয়ারটেল নাগাদের নিয়ম না মেনে বিভিন্ন নাগা সংগঠন ও গোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। খাপলাং গোষ্ঠীর ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তারা। তাই রাজ্যে তাদের কোনও কাজ করতে দেওয়া হবে না। অবশ্য অন্য যে সব সংস্থা তাদের কথা মেনে চলবে ও স্থানীয় নিয়মকানুন মেনে নেবে, তাদের সব রকম সহযোগিতা করা হবে।

অন্য দিকে, এনএসসিএন-আইএম গোষ্ঠী সম্প্রতি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছে, য়ারা জঙ্গি কর দেবে না তাদের হত্যা করা হবে। কড়া ভাষায় তার প্রতিবাদ জানিয়েছে নাগা হো হো ও ডিমাপুর নাগা কাউন্সিল। গত ৪ জুলাই আইএম গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে জানায়, যেহেতু তারা নাগা সমাজের মশালধারী ও নাগাদের অধিকার রক্ষায় লড়াই চালাচ্ছে, তাই নাগাদের উচিত তাদের কর দেওয়া। যারা কর দিতে অস্বীকার করবে বা কর আদায়ের বিপক্ষে জনমত গঠন করবে, তাদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে। নাগা হো হো ও নাগা কাউন্সিল জানায়, যারা নিজেদের নাগা সমাজের মশালধারী বলে, যারা নাগাদের প্রতিনিধি হয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালাচ্ছে—তারা কোন মুখে এমন হুমকি দিতে পারে! দু’টি সংগঠনই জানায়, আইএম গোষ্ঠীর লড়াই ও শান্তি প্রচেষ্টার চেষ্টাকে সম্মান জানালেও এ ভাবে হুমকি দেওয়া তারা কোনও মতেই বরদাস্ত করবে না।

Advertisement

এয়ারটেলের উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক দফতরের তরফে জানানো হয়, খাপলাং জঙ্গিরা সরাসরি এয়ার টেলের কাছে টাকা চায়নি। হুমকিও দেয়নি. সাধারণত, টাওয়ার বসানো ও স্থানীয় দফতরের ভার স্থানীয় ঠিকাদারদের মাধ্যমে করায় এয়ারটেল। এক্ষেত্রেও জঙ্গিরা স্থানীয় ঠিকাদার, ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছেই টাকা চেয়েছিল ও হুমকি দিয়েছিল। বিষয়টি সদর দফতরে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন