দাবি কুমারমঙ্গলমের

কুরুচিকর মন্তব্যে সাজা হোক বিশিষ্টেরও

দেশের মধ্যে ডাইনি অপবাদ দিয়ে খুন-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কড়া আইন বানিয়েছে অসম। কিন্তু তার পরেও ডাইনি অপবাদে হত্যা ও অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ললিতা কুমারমঙ্গলম মনে করেন, ‘‘শুধু আইন আনলেই হবে না। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে খরচের বরাদ্দও বাড়াতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৬ ০৩:০৬
Share:

মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে ললিতা কুমারমঙ্গলম। —নিজস্ব চিত্র।

দেশের মধ্যে ডাইনি অপবাদ দিয়ে খুন-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কড়া আইন বানিয়েছে অসম। কিন্তু তার পরেও ডাইনি অপবাদে হত্যা ও অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ললিতা কুমারমঙ্গলম মনে করেন, ‘‘শুধু আইন আনলেই হবে না। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে খরচের বরাদ্দও বাড়াতে হবে। ডাইনি অপবাদে অত্যাচার, নারী ও শিশু পাচারের মতো সামাজিক ক্ষত রুখতে প্রয়োজন প্রতি গ্রামে সচেতনতা শিবির, শিক্ষার প্রসার, পুলিশের দক্ষতা ও সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় সংগঠনগুলির সক্রিয় সহযোগিতা।’’

Advertisement

রাজ্য মহিলা কমিশনের দক্ষতা ও ক্ষমতাবৃদ্ধির উপরেও জোর দেন কুমারমঙ্গলম। তাঁর মতে, ‘‘নারী সবলীকরণ তখনই সম্ভব, যখন মেয়েদের জীবনযাপনের মান উন্নত হবে, সরকার ও সমাজের মধ্যে বোঝাপড়া ভাল হবে।’’ গ্রামে স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুষ্টি পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারকে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

জাতীয় মহিলা নীতির খসড়া তৈরির জন্য অসম সরকার ও রাজ্য মহিলা কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিতে গুয়াহাটি এসেছেন কুমারমঙ্গলম। সরকার, পুলিশ, প্রশাসন ও সামাজিক সংগঠনগুলিকে এক সঙ্গে নিয়ে এখনও পর্যন্ত এমন পাঁচটি আলোচনা সভা হয়েছে। গুয়াহাটির সভায় উত্তর-পূর্বের মহিলাদের প্রধান সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা হয়।

Advertisement

কুমারমঙ্গলমের মতে, ‘‘প্রান্তিক, দারিদ্র্য বা অন্যান্য কারণে স্কুলে যেতে না পারা বা স্কুলছুট মেয়েদের দক্ষতাবৃদ্ধি ও পেশাগত প্রশিক্ষণ দিলে মেয়ে পাচারের সংখ্যা কমতে পারে। সমাজকে এ ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে।’’ রাজ্যে মানসিক ও দৈহিক প্রতিবন্ধী মহিলাদের জন্য আশ্রয়-আবাসের অভাব থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। তাঁর মতে, মেয়েদের উপরে হওয়া অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষমতার পরিসরের মধ্যেই মহিলা কমিশনকে লড়তে হচ্ছে।

নাম না করে ধর্ষণ নিয়ে সলমন খানের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘‘বিখ্যাত লোকেরাও যদি মেয়েদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ মেয়েদের প্রতি অনলাইনে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যে অশালীনতা চলছে—তার বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ানোর আবেদন জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন