Odisha Sex Racket

ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে ভুবনেশ্বরে নারীপাচার এবং যৌনচক্রের হদিস পেল পুলিশ! ধৃত চার, উদ্ধার তিন মহিলা

তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লক্ষ্মীনগরের বাড়ি থেকে যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা হলেন, মঞ্জু শেঠি, মমতা সাহু, সঞ্জীবকুমার দাস এবং অবিনাশ মুদুলি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ওড়িশার ভুবনেশ্বরে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে রাজধানীতে নারীপাচার এবং বড় যৌনচক্রের হদিস পেল পুলিশ।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতের ঘটনার সূত্র ধরে ভুবনেশ্বরের লক্ষ্মীনগরে একটি পাচারচক্রের হদিস মেলে। শনিবার ভুবনেশ্বর পুলিশ এবং লক্ষ্মীনগর থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। গোপন সূত্রে তাদের কাছে খবর আসে, লক্ষ্মীনগর এলাকার একটি বাড়িতে রমরমিয়ে চলছে নারীপাচার চক্র। সেই খবর পেয়েই ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে তিন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, লক্ষ্মীনগরের বাড়ি থেকে যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা হলেন, মঞ্জু শেঠি, মমতা সাহু, সঞ্জীবকুমার দাস এবং অবিনাশ মুদুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, শেঠি, সাহু এবং দাস এই পাচারচক্রের হোতা। পুলিশ কমিশনার এস দেবদত্ত সিংহ জানিয়েছেন, যে হাসপাতালের সামনে কিশোরীকে আহত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়। সেই সূত্র ধরে লক্ষ্মীনগরে একটি বাড়ির হদিস মেলে। সেখান থেকে নারীপাচার এবং যৌনচক্র চালানো হচ্ছিল।

Advertisement

পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত রয়েছে। ধৃত মুদুলিকে মূল অভিযুক্ত বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীকে দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করা হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালের সামনে এক কিশোরীকে গুরুতর জখম এবং অচৈতন্য অবস্থায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্মীরা কিশোরীকে ওই অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন। কিশোরীর মেডিক্যাল রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মেলায় পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তার পরই অভিযুক্তকে ধরার জন্য তল্লাশি চলছিল। সেই সূত্র ধরেই লক্ষ্মীনগরে নারীপাচার এবং যৌনচক্রের হদিস পায় পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement