(বাঁ দিকে) রাজ সিংহ কুশওয়াহা এবং সোনম রঘুবংশী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডে ধৃত সোনম রঘুবংশী এবং তাঁর ‘প্রেমিক’ রাজ সিংহ কুশওয়াহার একটি যুগল-ছবি প্রকাশ্যে এল। দু’জনের গ্রেফতারির পরে জুটির পুরনো ওই ছবিটি সমাজমাধ্যমে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। ওই ছবিতে দু’জনকে একসঙ্গে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে। বস্তুত, সোনমের স্বামী রাজা রঘুবংশীর খুনে রাজ জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ পুলিশের। মেঘালয় পুলিশের দাবি, ঘটনার সময় রাজ সেখানেই ছিলেন। তবে রাজের কী ভূমিকা ছিল, তা তদন্তসাপেক্ষ।
রাজ এবং সোনমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই প্রেমের সম্পর্কের জেরেই রাজাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। তবে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না, তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সোনম, রাজ এবং বাকি তিন জনকেও ইতিমধ্যে মেঘালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজার খুনের নেপথ্যে তাঁদের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিল্স জেলার পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম জানান, খুনের ঘটনায় সোনমের যোগ রয়েছে বলে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে পুলিশের কাছে। তবে তিনি কতটা জড়িত ছিলেন, কী ভূমিকা ছিল, তা তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে জানা যাবে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, হত্যাকাণ্ডে সোনমের জড়িত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে কিছু মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
সূত্রের খবর, বিয়ের আগে থেকেই রাজের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের। এমনকি, রাজার সঙ্গে বিয়ের পরেও দু’জনের যোগাযোগ ছিল। পারিবারিক সূত্রে সোনমদের সানমাইকার ব্যবসা ছিল। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন ২১ বছর বয়সি রাজ। সেই সূত্রেই আলাপ হয়েছিল দু’জনের। প্রায়ই তাঁদের ফোনে কথা হত।
যদিও সোনমের সঙ্গে রাজের প্রেমের কথা অস্বীকার করেছেন ধৃত তরুণের পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, নিয়োগকর্তা এবং কর্মীর মধ্যে যেমন সম্পর্ক হয়, রাজ এবং সোনমের মধ্যেও তেমনই সম্পর্ক ছিল বলে দাবি ধৃতের বোনের। রাজের বোনের বক্তব্য, দাদা কোনও ভাবেই এমন কাজ করতে পারেন না। রাজকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই দাবি তাঁর। রাজ সোনমকে ‘দিদি’ বলে ডাকতেন বলেও দাবি পরিবারের।