জম্মুর পর হামলা শ্রীনগরে

সুঞ্জওয়ানের সেনা শিবিরে হামলার জেরে গোটা উপত্যকায় সতর্কতা জারি ছিল। আজ সকালে শ্রীনগরের কর্ণনগরে সিআরপিএফের শিবিরে হামলা চালায় জঙ্গিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:২৫
Share:

উদ্ধার: সিআরপিএফ শিবির থেকে সরিয়ে আনা হচ্ছে জওয়ানদের পরিবারকে। কাছেই একটি বাড়িতে জঙ্গিদের সঙ্গে তখন গুলির লড়াই চলছে বাহিনীর। সোমবার শ্রীনগরে। ছবি: পিটিআই।

জম্মুর সেনা শিবিরে হামলার রেশ কাটেনি এখনও। আজ প্রবল তুষারপাতও হয়েছে কাশ্মীরে। কিন্তু তারই মধ্যে খাস শ্রীনগরে সিআরপিএফের শিবিরে হামলায় উত্তপ্ত হয়েই রইল জম্মু-কাশ্মীর। সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে বলে জম্মুতে বসে জানিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি জানালেন, হিংসা বন্ধ করতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা উচিত।

Advertisement

সুঞ্জওয়ানের সেনা শিবিরে হামলার জেরে গোটা উপত্যকায় সতর্কতা জারি ছিল। আজ সকালে শ্রীনগরের কর্ণনগরে সিআরপিএফের শিবিরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। রক্ষীরা সতর্ক থাকায় শিবিরের মধ্যে ঢুকতে পারেনি তারা। রক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত মুজাহিদ খান নামে এক জওয়ান। তিনি বিহারের বাসিন্দা। গুলি বিনিময়ের পরেই জঙ্গিরা পালায়। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ ও সিআরপিএফ। শ্রীনগর মেডিক্যাল কলেজের কাছে বাহিনীকে লক্ষ করে ফের গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। জওয়ানেরা বুঝতে পারেন, ওই এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে তারা। জঙ্গিদের খতম করতে এখনও অভিযান চালাচ্ছে বাহিনী। সংঘর্ষের সময়ে বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়দের একাংশ। জনতার সঙ্গে প্রবল সংঘর্ষ হয় পুলিশের। তবে কেউ হতাহত হয়নি। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর ই তইবা।

আজ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জম্মুতে আসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সুঞ্জওয়ানে হামলায় আহতদের সঙ্গে জম্মুর সেনা হাসপাতালে দেখা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে বৈঠকও করেন। পরে জম্মুতে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সুঞ্জওয়ান শিবিরে জঙ্গি দমন অভিযান শেষ হয়েছে। তবে ঘাঁটি পুরোপুরি সুরক্ষিত করার কাজ এখনও চলছে। আগে সেনা সূত্রে চার জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘তিন জন জঙ্গি খতম হয়েছে। চতুর্থ জঙ্গি হামলাকারীদের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করেছে। সে সম্ভবত ঘাঁটির ভিতরে ঢোকেনি। জঙ্গিদের পিছনে স্থানীয় সমর্থন ছিল সন্দেহ নেই।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সেনা-মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান ভাগবত: রাহুল

নির্মলা বুঝিয়ে দেন, হানার পিছনে যে পাকিস্তানি মদত রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। সে জন্য পাকিস্তানকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটাতে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। আমাদের বাহিনীর চেষ্টার ফলে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ কিছুটা কমেছে।’’ কিন্তু এ দিনই পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। তাঁর কথায়, ‘‘সমস্যা মেটাতে আলোচনা ছাড়া পথ নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement