এ কী বলছে সরকার! ঘোড়াও হেসে ফেলবে যে

নোটবন্দির এক বছর পর দেখা যাচ্ছে, অসঙ্গতি এবং স্বপ্নভঙ্গের ফিরিস্তি অনেকটাই লম্বা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৭ ০০:৩৮
Share:

নিজস্ব চিত্র।

বছর ঘুরে গেল। কিন্তু অর্থনীতির চাকা ঘুরে যাবে বলে যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়েছিলেন, তার লেশমাত্র দেখা গেল না। নোটবন্দির বর্ষপূর্তিতে সংবাদমাধ্যমে ফলাও বিজ্ঞাপন দিয়েছে কেন্দ্র। ‘দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক কালো টাকা ফাঁস’— দাবি করেছে সরকার। ‘সন্ত্রাসবাদ ও নকশালবাদের কোমর ভেঙে গিয়েছে’— এমনও দাবি সরকারের। কিন্তু নোটবন্দির ফলে যা যা হবে বলে খোদ মোদী দাবি করেছিলেন, সে সব কী আদৌ হয়েছে? সদুত্তর নেই সরকারের কাছে।

Advertisement

নোটবন্দির এক বছর পর দেখা যাচ্ছে, অসঙ্গতি এবং স্বপ্নভঙ্গের ফিরিস্তি অনেকটাই লম্বা। ২০১৬-র ৮ নভেম্বরের পর থেকে কেন্দ্রের তরফে দফায় দফায় নোটবন্দির যে সব ‘আসন্ন সুফল’-এর কথা বলা হয়েছিল, সে সব সুফল আমরা কতটা টের পেলাম? কোন কোন ক্ষেত্রে ঠিক বিপরীত ফল হল? চুলচেরা বিশ্লেষণে অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়:

Advertisement

কালো টাকার সর্বনাশ হবে, নোটবন্দির পর বলেছিলেন মোদী। সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র জানিয়েছিল, যে পরিমাণ টাকা বাতিল হল, তার ২৫ শতাংশ আর ব্যাঙ্কে ফিরবে না। সে দাবি যে আপাদমস্তক ভুল ছিল, তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া হিসেবেই।

আরও পড়ুন: আশ্চর্য হিমাচল, শূন্য ডিগ্রিতেও ভোটগ্রহণ

ভারতের বাজারে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা রয়েছে, তাই নোটবন্দি জরুরি ছিল। এমন দাবিও করেছিল কেন্দ্র। বছর ঘুরে যাওয়ার পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেব বলছে, মাত্র ৪৩ কোটি টাকা মূল্যের জাল নোট চিহ্নিত হয়েছে। এই সামান্য অঙ্কের জাল নোট উদ্ধার করতে ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি টাকার নোট বাতিল করে দেওয়া জরুরি ছিল? দেখুন অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্লেষণের দ্বিতীয় পর্ব:

নোটবন্দির ফলে বাজারে যে নগদের সঙ্কট দেখা দিয়েছিল, তাতে দেশের মানুষ ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। বলেছিল সরকার। বাস্তবে সামগ্রিক ডিজিটাল লেনদেন বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু কতটা বেড়েছে? এখনও কি বাড়ছে? নাকি ফের নামছে ডিজিটাল লেনদেনের গ্রাফ। দেখুন বিশ্লেষণের তৃতীয় পর্ব:

নোটবন্দির নানা দিক নিয়ে আরও বিশদ বিচার-বিশ্লেষণ পেতে ক্লিক করুন এখানে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন