আসাম বিশ্ববিদ্যালয়েও এ বার ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনলাইন ব্যবস্থা চালু হল। উপাচার্য দিলীপ নাথ আজ জানান, মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। একই সঙ্গে তিনি অনলাইন ব্যবস্থারও সূচনা করেন।
উপাচার্য মনে করেন, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের আবেদন পত্র সংগ্রহ বা জমা দেওয়ার ঝঞ্ঝাট মিটল। অনলাইনেই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। নথিপত্রের প্রতিলিপি জমাও করা হবে ওই একই প্রক্রিয়ায়। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে বসে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। এটি ছাত্র-অভিভাবকদের কাছে এক বিরাট সুবিধে। এতে স্বচ্ছ ও দ্রুত পরিষেবা আশা করা যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও টেবিলে এ বার আর কোনও কোর্সে ভর্তির আবেদনপত্র জমা রাখা হবে না।
অনলাইন প্রক্রিয়ায় সুবিধের সঙ্গে কিছু অসুবিধে নিয়েও চর্চা চলছে এখন। বিশেষ করে বরাক উপত্যকার বহু গ্রামে ইন্টারনেটের সুবিধে নেই। অনেক জায়গায় কানেকশন মেলে না বললেই চলে। অনেকে অনলাইনের ব্যাপার-স্যাপারে মোটেও সড়গড় নন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তারা জানান, গ্রামীণ ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারে একটি ‘হেল্প ডেস্ক’ খোলা হয়েছে। অনলাইনে কারও সমস্যা হলে সেখানে যোগাযোগ করা যেতে পারে। গ্রামীণ আবেদনকারী প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক সূত্র দাবি করেন, এটা মোটেও সমস্যা নয়। শিক্ষকের চাকরির জন্য টেট পরীক্ষার সময় অনলাইনেই আবেদন করতে বলা হয়েছিল। এবং তা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নও হয়েছিল।