বাজারে তখন মোট সাড়ে ১৭ লাখ কোটি টাকা। রাতারাতির ঘোষণায় বাতিল হয়ে গেল ৫০০, ১০০০ হাজারের সব নোট। টাকার অঙ্কে সব মিলিয়ে তার পরিমাণ ছিল ১৫.৫০ লাখ কোটি টাকা। গত দু’মাসে সেই টাকার প্রায় সাড়ে ৯৩ শতাংশ, অর্থাত্ সাড়ে ১৪ লাখ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। বাজারে পড়ে রয়েছে আর মাত্র ৭৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাত্, মাত্র সাড়ে ৬ শতাংশ টাকা বাজারে পড়ে রয়েছে! রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যম সোমবার এই খবর প্রকাশ করেছে।
কালো টাকার হদিশ পেতেই রাতারাতি বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল ওই নোট। প্রধানমন্ত্রী বার বারই নোট বাতিলের কারণ হিসেবে কালো টাকার তত্ত্ব খাড়া করেছেন। সরকার মনে করেছিল, বাজারে ছাড়া মোট টাকার প্রায় ২০ শতাংশ অর্থাত্ ৩ লাখ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে জমা পড়বে না। যা কালো টাকা হিসেবে বাজারেই ‘বাজেয়াপ্ত’ হয়ে থেকে যাবে। কিন্তু, অঙ্কের হিসাবে এত সামান্য ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাইরে রয়েছে দেখে অর্থনীতিবিদদের একাংশ বেশ হতাশ। টাকার অঙ্কের এই হিসাব শুনে অর্থনীতির এক ছাত্রের রসিক মন্তব্য, ‘‘শুধু গর্জনই সার! বর্ষণ হল কোথায়?’’
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওই কর্তার আরও দাবি, প্রধানমন্ত্রী যে দিন নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন সে সময়েও ব্যাঙ্কের হাতে ৫০ হাজার কোটি টাকার পুরনো ৫০০ এবং ১০০০-এর নোট ছিল। ৮ নভেম্বর মুদ্রা বাতিলের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর কেটে গিয়েছে দু’মাস। ব্যাঙ্কে এখনও জমা পড়েনি মাত্র ৭৫ হাজার কোটি টাকার ৫০০, ১০০০-এর নোট। আর এই সময়ের মধ্যে নতুন করে ১০ লাখ কোটি টাকার নতুন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘পরিস্থিতি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা। আর সে জন্য আরও ২ থেকে আড়াই লাখ কোটি টাকা ছাপার প্রয়োজন ছিল। তা ছাপিয়ে ব্যাঙ্কে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
আরও খবর: নোট বাতিলের বিশদ ব্যাখ্যা চেয়ে উর্জিতকে তলব সংসদীয় কমিটির