Hindenburg Research

‘সেবি-আদানি যোগসূত্র’ নিয়ে নতুন করে কোমর বাঁধছে ‘ইন্ডিয়া’! জয়রাম, মহুয়াদের নিশানায় কেন্দ্র

হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়, আদানি গোষ্ঠীর বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামীর। তার পরেই এই নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছে বিরোধী দলগুলি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৪ ১৩:০৩
Share:

(বাঁ দিক থেকে) জয়রাম রমেশ, গৌতম আদানি এবং মহুয়া মৈত্র। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির প্রধানের যোগসূত্র নিয়ে বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এই বিষয়ে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেসের তরফে বিষয়টিকে সরাসরি ‘স্বার্থের সংঘাত’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। তাদের দাবি, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তে অনতিবিলম্বে সব স্বার্থের সংঘাতকে নির্মূল করুক কেন্দ্র। সরব হয়েছে তৃণমূল, উদ্ধবপন্থী শিবসেনার মতো ‘ইন্ডিয়া’য় অন্য দলগুলিও।

Advertisement

আমেরিকার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ শনিবার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখে, “আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারি রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির প্রধানের।” হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয়, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারি রয়েছে সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ ও তাঁর স্বামী ধবল বুচের। ২০১৭ সালে সেবিতে যোগ দেন মাধবী। রিপোর্টে এ-ও দাবি করা হয়, সেই সময় সম্ভাব্য নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সমস্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নেন তাঁর স্বামী। এই অভিযোগকে ‘চরিত্রহননের চেষ্টা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বুচ দম্পতি। তবে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একটি বিবৃতিতে বলেন, “আদানির বড় কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তে সেবির অদ্ভুত গড়িমসি নতুন কোনও ঘটনা নয়।” পরিস্থিতির ব্যাখ্যায় একটি প্রচলিত লাতিন বাক্য ব্যবহার করেন রমেশ। যার বাংলা তর্জমা, “রক্ষীদের রক্ষা করবে কে?” অর্থাৎ, শেয়ার বাজারের নিয়ন্ত্রণ যে সংস্থার হাতে, সেই সংস্থার বিরুদ্ধেই যখন অভিযোগ, তখন সেটিকে রক্ষা করবে কে? কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ করে রমেশ আরও বলেন, “১২ অগস্ট পর্যন্ত সংসদ চলার কথা থাকলেও কেন ৯ অগস্ট বিকেলে অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হল, তা এখন বোঝা যাচ্ছে।”

Advertisement

সেবি প্রধানের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর ‘যোগসূত্র’ বোঝাতে নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে রীতিমতো অনুক্রম তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। দাবি করেন, ২০১৫ সালে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সংস্থায় অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন বর্তমান সেবি প্রধান। কৃষ্ণনগরের সাংসদের আরও দাবি, ২০১৭ সালের মার্চ মাসে সেবিতে যোগ দেওয়ার আগে যৌথ ভাবে থাকা সম্পত্তি স্বামীর নামে করে দেন মাধবী। অনুক্রমের একদম শেষে মহুয়া জানান, আদানি শিল্পগোষ্ঠীর তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট কমিটি তৈরি করে দেয়। কমিটি (সেবি) চেয়ারম্যানের প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং সুপ্রিম কোর্টে জানায়, সবিস্তার তথ্য না পাওয়ায় বিদেশে অর্থ বিনিয়োগের বিষয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো সম্ভব নয়। সেবি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ নিয়ে ইডি-সিবিআই তদন্ত শুরু করবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মহুয়া। একই প্রশ্ন তুলেছেন শিবসেনা (ইউবিটি)-র সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement