নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
লোকসভায় বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে হারানোর পরে রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদেও জয়। টগবগ করে ফুটতে থাকা মোদী রোজই বিরোধী জোটকে আক্রমণ করছেন। বলছেন, ‘‘তেলে-জলে মিশ খায় না।’’
বিরোধী জোটে ভাঙন ধরাতে মোদীর চেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে রাহুল গাঁধীরাও এ বার নামছেন নিজেদের শক্তি দেখাতে। মোদীর লালকেল্লার বক্তৃতার এক দিন পরে দিল্লিতেই বৈঠকে বসছেন বিরোধী দলের নেতারা। বিরোধী শিবিরের এক নেতার মতে, লোকসভা ভোটের সংখ্যার নিরিখে সংসদের ভিতর দাপট দেখাচ্ছেন মোদী। কিন্তু চার বছরে বাস্তবের জমিটা একেবারে বদলে গিয়েছে। নানা ধরনের চাপ দিয়ে বিজেপি এখন বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরাতে চাইছে। কিন্তু সংসদের দু’টি ভোটেই স্পষ্ট, বিরোধী জোটের দলগুলি ঐক্যবদ্ধ। এমনকি, চন্দ্রবাবু নায়ডুর মতো বিজেপির প্রাক্তন শরিকও এখন বিরোধী শিবিরে। এই শক্তি দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরতেই বৃহস্পতিবার দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে পাশাপাশি থাকবেন বিরোধী দলের নেতারা। নীতীশ কুমারের দল থেকে বেরিয়ে আসা নেতা শরদ যাদব বলেন, ‘‘দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ও সংবিধান বাঁচাতে এই আয়োজন করা হয়েছে। রাহুল গাঁধী-সহ
বিরোধী শিবিরের প্রায় সব নেতাই উপস্থিত থাকবেন।’’
রাহুল এখন প্রতিটি সভাতেই বলছেন, মোদীকে হারাতে বিরোধীদের একজোট হতে হবে। লালুপ্রসাদ-পুত্র তেজস্বী কংগ্রেস সভাপতিকে প্রস্তাব দিয়েছেন, অবিলম্বে বিরোধীদের একটি সমন্বয় কমিটি গড়া হোক। যাতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে একসঙ্গে মোদীকে আক্রমণ করা যায়।