National News

সুযোগ কম নেই, মোদীর গুগলি বুঝতে হিমশিম বিরোধীরা

রাহুলের টুইট নিয়েই খোশগল্প শুরু হয় বিজেপি সাংসদদের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২০ ০২:৩৪
Share:

ছবি: এএফপি।

সপ্তাহখানেক আগে রাতে আচমকাই এল প্রধানমন্ত্রীর টুইট। আজ রবিবারের দিনটির কথা উল্লেখ করে বললেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দেবেন।

Advertisement

দিল্লি হিংসার রেশ তখনও মেটেনি। সে দিনই শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। দিল্লির হিংসা নিয়ে বিরোধীরা চেপে ধরায় সংসদও মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি মহলে আলোচনা শুরু হল, তা হলে কি দিল্লির হিংসা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী? হিংসার ঘটনায় তিনি ‘ব্যথিত’, সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে কি সেই বার্তা দেবেন? কংগ্রেসের নেতারাও মোদীর টুইটটির বিষয়ে রাহুল গাঁধীকে জানান। মোদীর ‘মনের কথা’ বুঝতে না-পেরে আধ ঘণ্টার মধ্যে রাহুলের টুইট: ‘‘ঘৃণা ছাড়ুন, সোশ্যাল মিডিয়া নয়।’’

পর দিন দুপুরের মধ্যে মোদী অবশ্য স্পষ্ট করে দেন, নারী দিবসে মহিলাদের হাতে তুলে দিতে চান নিজের সোশ্যাল অ্যাকাউন্টটি। তার পরে রাহুলের টুইট নিয়েই খোশগল্প শুরু হয় বিজেপি সাংসদদের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে বলাবলি: ‘‘মোদীকে এখনও চিনে উঠতে পারেননি রাহুল। প্রধানমন্ত্রী কখন কী গুগলি দেবেন, তা আমরাই বুঝতে পারি না! এ রকম একের পর এক ইস্যু কংগ্রেসকে দিয়ে যাবেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। আর তাতেই ব্যস্ত থাকবে বিরোধীরা।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: সাত অদম্য নারীর স্বপ্নউড়ান প্রধানমন্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে

কংগ্রেস নেতারা অবশ্য বলছেন, ‘‘ফাঁদে পড়ার কিছু নেই। দিল্লি হিংসার পর সমবেদনা না জানিয়ে টুইটে প্রধানমন্ত্রী হেঁয়ালি করছেন, এটা কাজের কথা নয়।’’ তবে নেতারা মানছেন, বিজেপি এত ইস্যু দিচ্ছে, কোন ইস্যুকে বড় করে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে সত্যিই হিমশিম খেতে হচ্ছে। দলের নেতারা বলছেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী সরকার যখন সিএএ, এনআরসি নিয়ে বিতর্ক বাড়াচ্ছে, হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি করছে, সে সময়ই আমরা স্থির করেছিলাম ৪৫ বছরের সব থেকে বেকারত্বের ইস্যুতে সীমাবদ্ধ থেকে আন্দোলন করব। রাহুলের উদ্যোগে বেকারদের পাল্টা তালিকা তৈরির অভিযানও শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রায় রোজই বিজেপি এমন সব গাড্ডায় দেশকে ফেলছে, যা উপেক্ষা করার উপায় নেই।’’

কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে অভিযোগের দীর্ঘ ফিরিস্তি আছে। দেশে সবই পড়তির দিকে, বাড়ছে শুধু মোদী সরকারের অহং আর ব্যর্থতা। আর তাতে আম-জনতার ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।’’ বিরোধী নেতাদের মতে, দ্বিতীয় বার জোরালো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় কেন্দ্র গায়ের জোরে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কিন্তু বিরোধীরা এখনও ছত্রভঙ্গ। বিরোধী শিবিরে জাতীয় স্তরে বড় কোনও নেতা নেই। ফায়দা তুলছেন মোদী-শাহ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন