একজোট: যন্তর-মন্তরের প্রতিবাদ মঞ্চে রাহুল গাঁধীর পাশে বিরোধী দলের নেতারা। শনিবার। ছবি: পিটিআই।
হাতে হাতে মোমবাতি। রাহুল গাঁধী, তেজস্বী যাদব, সীতারাম ইয়েচুরি, দীনেশ ত্রিবেদী, ডি রাজা, শরদ যাদবেরা।
দিল্লির যন্তর-মন্তর। বিহারের মুজফ্ফরপুরের হোমে ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে এক মঞ্চে বিরোধী নেতারা। অরবিন্দ কেজরীবালও ছিলেন। তবে রাহুল আসার আগেই চলে গিয়েছিলেন তিনি। রাহুল এসে সেই মঞ্চ থেকেই নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বললেন, ‘‘সব বিরোধী একজোট। এক দিকে বিজেপি-আরএসএস, অন্য দিকে গোটা দেশ। ভারত বলছে, চার বছরে যা হয়েছে, ভাল লাগেনি। ইতিহাস, সংস্কৃতিতে লাগাতার আক্রমণ। ভারত এক বার মন স্থির করে ফেললে তার সামনে কেউ দাঁড়াতে পারবে না।’’
হোমের ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে গত কালই প্রথম বার মুখ খুলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নীতীশের সঙ্গে মোদীকে হটানোরও দাবি আজ তুলেছেন বিরোধীরা। তেজস্বীর আয়োজনে হাজির হয়ে রাহুল বুঝিয়ে দিয়েছেন, মোদীকে পরাস্ত করতে বিরোধীদের এক হয়ে লড়াটাই এখন প্রধান লক্ষ্য। আবার কংগ্রেসের দিল্লির নেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও মঞ্চে গিয়েছেন কেজরীবাল। নির্ভয়া-কাণ্ড এবং তার পরে ইউপিএ সরকারের পতনের দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেছেন, এ বার বিজেপিরও বিদায়ও অনিবার্য। কিন্তু তাঁর এই মন্তব্য এবং কৌশলী উপস্থিতিতে বিজেপি-বিরোধী জোটেরই বার্তা দেখেছেন অনেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত হিসেবে এসেছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তৃণমূল নেত্রীর বার্তা শোনান তিনি।
কাঠুয়া-উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের পরেও দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে মোমবাতি মিছিল করেছিলেন রাহুল। ছিলেন বোন প্রিয়ঙ্কাও। সেই রাতে মিছিলের ভিড়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছিল। আজ যন্তর-মন্তরের সভার আগে বিজেপির মীনাক্ষী লেখি কটাক্ষ করেন, ‘‘জানি না, আজও মহিলারা নিরাপদ থাকবেন কি না।’’ শুনে বিরোধীরাও হতবাক— নেত্রীর মুখেও এ কী ভাষা!