সরকার গড়ার ডাক আদৌ মিলবে কি? চিন্তান্বিত চিন্নাম্মা। ছবি: পিটিআই।
দাবি, পাল্টা দাবিতে ক্রমশ আরও সরগরম তামিলনাড়ু। বিকেলে এআইএডিএমকে-র ১০ প্রবীণ নেতাকে নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভম। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করলেন। আর সন্ধ্যায় রাজ্যপালের কাছে গেলেন শশিকলা নটরাজন। তাঁর সমর্থনে যে বিধায়করা রয়েছেন, তাঁদের নামের তালিকা রাজ্যপালের হাতে তুলে দিলেন তিনি। সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে এসেছেন শশিকলা। কিন্তু রাজ্যপাল কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শশিকলা এবং পনীরসেলভম, দু’জনেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য আজ সময় চেয়েছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী পনীরসেলভমকেই আগে সময় দেন রাজ্যপাল। বিকেলে পনীরসেলভম রাজ ভবনে যান। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন এআইএডিএমকে-র প্রবীণ নেতাদের বেশ কয়েক জন। রাজ্যপালের সঙ্গে মিনিট ১৫ বৈঠকের পর বেরিয়ে আসেন পনীরসেলভমরা। বাইরে এসে পনীরসেলভম বলেন, ‘‘ভাল কিছুই হবে।’’ তিনি জানান, রাজ্যের পরিস্থিতি কেমন, সে বিষয়েই রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হয়েছে। সুযোগ পেলে তিনি ইস্তফা প্রত্যাহার করে আস্থা ভোটে যেতে রাজি আছেন, এমন কথাও ফের জানিয়েছেন পনীরসেলভম।
শশীকলা সন্ধ্যার পর রাজ ভবনে যান। যাওয়ার পথে জয়ললিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে যান তিনি। তাঁর হাতে সে সময় একটি বড় মুখবন্ধ খাম ছিল। খামটি তিনি জয়ার সমাধিতে কিছু ক্ষণের জন্য রাখেন। তার পর সেটি নিয়ে রাজ ভবনের উদ্দেশে রওনা হন। ওই মুখবন্ধ খামেই বিধায়কদের সমর্থন পত্র রয়েছে বলে এআইএডিএমকে সূত্রের খবর। শশিকলা সেই খাম রাজ্যপালের হাতে তুলে দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন
প্রশাসনে নিয়ন্ত্রণ ক্রমশ বাড়াচ্ছেন পনীর, পুলিশ কমিশনার অপসারিত
জয়ললিতার সমাধিতে শশিকলা। ছবি: পিটিআই।
পনীরসেলভম ও শশিকলা শিবিরের তৎপরতায় চেন্নাইয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। এক দিকে পনীরসেলভম ফের আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে চাইছেন। অন্য দিকে শশিকলা নতুন সরকার গড়তে চাইছেন। রাজ্যপাল কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পনীরসেলভমকে ফের আস্থা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া যায় কি না, তা তিনি খতিয়ে দেখছেন। আবার শশিকলার বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলা ঝুলছে। তার রায় খুব শীঘ্রই ঘোষিত হবে। সেই রায় ঘোষণার আগেই শশিকলাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার সুযোগ দেওয়া উচিত হবে কি না, সে বিষয়ে রাজ্যপাল আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।