অভিযুক্ত পরিবহণকর্তা মুদ কিসান। ছবি: সংগৃহীত।
তাঁর মাসিক বেতন এক লক্ষ টাকা। কিন্তু দুর্নীতিদমন শাখা (এসিবি) তল্লাশি চালাতেই জানা গেল, ১০০ কোটিরও বেশি সম্পত্তির মালিক তিনি। তেলঙ্গানার মেহবুবনগরের পরিবহণ দফতরের ডেপুটি কমিশনারের ১১ ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে স্তম্ভিত তদন্তকারী আধিকারিকেরা। আয়বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে পরিবহণকর্তা মুদ কিসানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল এসিবি।
এসিবি সূত্রে খবর, পরিবহণকর্তার ৩১ একর জমির হদিস মিলেছে। যার বর্তমান বাজারদর ৬২ কোটি টাকা। এ ছাড়াও কিসানের বেশ কয়েকটি বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং খামারবাড়ি রয়েছে। যার দাম কয়েক কোটি। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিবহণকর্তার ১১টি ঠিকানায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকটি ঠিকানা থেকে বিলাসবহুল গাড়ি, গয়না এবং নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সঙ্গারেড্ডি জেলায় এবং নিজ়ামাবাদে কিসানের বিপুল পরিমাণ জমির হদিস মিলেছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পাওয়া গিয়েছে দেড় কোটি টাকা। এসিবি সূত্রে খবর, ওই অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ় করে দেওয়া হয়েছে।
এসিবি সূত্রে খবর, পরিবহণকর্তার একটি ঠিকানা থেকে এক কেজি সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও অশোক টাউনশিপ এবং নিজ়ামাবাদে কিসানের দু’টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। সঙ্গারেড্ডিতে রয়েছে একটি খামারবাড়ি। এখানেই তাঁর সাম্রাজ্য শেষ নয়। কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেলের অংশীদারিও রয়েছে কিসানের। গাড়ির শোরুমের মালিকানাও রয়েছে তাঁর নামে। তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, ১১টি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে যে পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র। নামে এবং বেনামে কোথায় কোথায় সম্পত্তি রয়েছে তা জানার জন্য পরিবহণকর্তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চাইছে এসিবি।