National news

সাংসদ-বিধায়কদের বিরুদ্ধে ৪ হাজারেরও বেশি ফৌজদারি মামলা!

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ১২২টি ফৌজদারি মামলার এখনও নিষ্পত্তিই হয়নি!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

এ যেন মামলার পাহাড়! তাও আবার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে! তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ১২২টি ফৌজদারি মামলার এখনও নিষ্পত্তিই হয়নি!

Advertisement

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীনই এই তথ্য সামনে এসেছে। যত দ্রুত সম্ভব রাজ্য এবং হাইকোর্টগুলো থেকে অসমাপ্ত ফৌজদারি মামলাগুলোর সমস্ত তথ্য চেয়েছেন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। যাতে প্রয়োজন অনুসারে স্পেশাল কোর্ট গঠন করে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা যায়।

আইনজীবী এবং বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায় ওই জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য, অভিযুক্ত রাজনীতিবিদদের আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হোক অর্থাৎ তাঁরা যেন ভোটে লড়তে না পারেন আর নির্বাচিত অভিযুক্ত প্রতিনিধিদের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্পেশাল কোর্ট গঠন করা হোক।

Advertisement

আরও পড়ুন: বুলন্দশহরে পুলিশ খুনের পিছনে বজরং-ভিএইচপি যোগ! গ্রেফতার পাঁচ, শহরে ১৪৪ ধারা

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি রঞ্জন গগৈর এজলাসে এই মামলাটি ওঠে। এই পরিমাণ অসমাপ্ত মামলার পাহাড় দেখে তখনই তিনি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। সমস্ত রাজ্য এবং হাইকোর্ট (যেখানে যেখানে এই মামলাগুলি চলছে) থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: চোখে জল, শোভনকে জড়িয়ে ধরে মেয়ে বলল ‘বাবা বাড়ি চলো’

অশ্বিনী উপাধ্যায়ের জনস্বার্থ মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে এখন মোট ৪ হাজার ১২২টি ফৌজদারি মামলা জমে রয়েছে। এর মধ্যে কোনও কোনও মামলার বয়স আবার ৩০ বছরেরও বেশি। কিছু সেই ১৯৯১ সাল থেকে চলছে। ২৬৪টি মামলার শুনানি স্থগিত রেখেছে কিছু হাইকোর্ট। কিছু মামলার আবার চার্জগঠনও হয়নি। আর সাংসদ-বিধায়ক, যাঁদের বিরুদ্ধে এই মামলা, তাঁদের অনেকেই এখন আর ওই পদে নেই। সময়ের সঙ্গে তাঁদের অনেকেই এখন প্রাক্তন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন