Seema Haider

‘মোদীজি কথা রেখেছেন’, সিএএ কার্যকরের সিদ্ধান্তকে ‘স্বাগত’ জানালেন পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সীমা

২০২৩ সালে গ্রেটার নয়ডার সচিন মীনার প্রেমে পড়ে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিলেন সীমা। তার পর তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন এবং সচিনকে বিয়ে করে সংসার পাতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪ ১২:৪১
Share:

পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা সীমা হায়দর। — ফাইল চিত্র।

প্রেমের টানে গত বছরই নিজের চার সন্তানকে নিয়ে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন পাক বধূ সীমা হায়দর। কী ভাবে তিনি ভারতে ঢুকলেন, শুধুই কি প্রেম না কি তাঁর ভারতে আসার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে— তা নিয়ে কম চর্চা হয়নি। জেলও খাটতে হয়েছে তাঁকে। সেই সীমার মুখে শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা। মোদী সরকারের সিএএ কার্যকর করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়ে কথা রেখেছেন।’’

Advertisement

২০২৩ সালের মে মাসে গ্রেটার নয়ডার সচিন মীনার প্রেমে পড়ে পাকিস্তান থেকে নেপাল হয়ে ভারতে এসেছিলেন সীমা। তার পর তিনি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন এবং সচিনকে বিয়ে করে সংসার পাতেন। তাঁর দাবি, সিএএ কার্যকর হওয়ায় ভারতের নাগরিকত্ব পেতে সাহায্য করবে। যদিও সীমা সিএএ থেকে সরাসরি সহায়তা পাবেন না। কারণ, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে (সিএএ) বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি।

সীমা যে হেতু ২০১৪ সালের পরে ভারতে এসেছেন এবং তখন তিনি মুসলিম ছিলেন, তা-ই তাঁর সিএএ থেকে সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে কোনও সুযোগ থাকছে না। তবুও মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে খুশি সীমা। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘ভারত সরকার আজকে আমাদের দেশে সিএএ কার্যকর করেছে। আমরা এতে খুব খুশি এবং এর জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানাই। সত্যিই মোদীজি যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা করেছেন। আমি সারা জীবন তাঁদের কাছে ঋণী থাকব।’’

Advertisement

অন্য দিকে, গত মাসেই মীনা দম্পতির কাছে তিন কোটি টাকা খেসারতের দাবি জানিয়ে নোটিস পাঠিয়েছেন সীমার প্রাক্তন স্বামী গুলাম হায়দর। যদিও তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সীমা। বিষয়টি আইনি পথে হবে বলেই জানান তিনি।

উল্লেখ্য, সীমার সঙ্গে সচিনের প্রেমকাহিনি শুরু হয় ২০১৯ সালে। অনলাইন গেম খেলতে খেলতেই আলাপ হয় দু’জনের। বন্ধুত্ব পেরিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লকডাউন পর্বে অনলাইনে চুটিয়ে প্রেম করেন তাঁরা। পরবর্তী সময়ে ঠিক করেন, একসঙ্গে সংসার পাতবেন। দু’জনে চলে যান নেপালে। পশুপতিনাথ মন্দিরে গিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। তার পর গত বছর ১৩ মে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। থাকতে শুরু করেন গ্রেটার নয়ডায় সচিনের বাড়িতেই। তবে ৪ জুলাই খবর পেয়ে সীমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে সচিন এবং তাঁর বাবাকেও আটক করে জেরা করা হয়। অবৈধ ভাবে প্রবেশের পাশাপাশি সীমার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিরও অভিযোগ ওঠে সীমার বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য জেল থেকে মুক্তি পান সীমা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন