এস-৪০০ সুদর্শন। —ছবি : সংগৃহীত
ইজ়রায়েলে যে কায়দায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল হামাস, ঠিক সেই কৌশলেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জম্মু এবং পঞ্জাবে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল পাকিস্তান। কিন্তু অতন্দ্র প্রহরায় থাকা ‘সুদর্শন চক্র’ সেই সব ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, জম্মু এবং পঞ্জাবের একাধিক জায়গা লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান। কিন্তু সেই হামলা ভেস্তে দিয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ। যেটি ভারতীয় সেনায় ‘সুদর্শন চক্র’ নামে পরিচিত।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জম্মু এবং পঞ্জাবে যে কৌশলে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে হামাসের হামলার। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আইএসআই এবং জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে হামাস নেতাদের এক বৈঠক হয়েছিল বলে বেশ কয়েকটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামাস নেতাদের দেখা মেলার পর থেকেই জল্পনা উস্কায় যে, তা হলে কি পাকিস্তানকে সহযোগিতা করছে হামাস? বৃহস্পতিবার জম্মু এবং পঞ্জাবে যে কৌশলে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে, তা থেকে গোয়েন্দাদের অনুমান, নেপথ্যে হামাস যোগ রয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হতেই রাজস্থান, পঞ্জাব এবং জম্মুতে সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হয়। রাজস্থানের বিকানের, পঞ্জাবে জালন্ধর, অমৃতসর, জম্মুর কিস্তওয়ার, আখনুর, সাম্বায় ‘ব্ল্যাকআউট’ করে দেওয়া হয়। জম্মুতে বিমানবন্দর, সেনাছাউনি, বায়ুসেনাঘাঁটি এবং আধাসেনার কার্যালয় লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে পাকিস্তান। পাশাপাশি ড্রোন হামলাও চালায় তারা। কিন্তু কোনও ক্ষেত্রেই সফল হয়নি পাকিস্তান। ভারতের আকাশসীমায় ঢোকার আগেই এস ৪০০-এর পাল্টা হামলায় আকাশেই ধ্বংস হয় ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনগুলি।