বিদেশসচিব স্তরের বৈঠক নিয়ে বল ফের ভারতের কোর্টে ঠেলল ইসলামাবাদ।
কাশ্মীর নিয়ে টানাপড়েনের মাঝেই আলোচনার বার্তা পাঠিয়েছিল ইসলামাবাদ। কাশ্মীর নিয়েই আলোচনা চেয়েছিল তারা। ভারত জানিয়ে দেয়, কেবল সন্ত্রাস নিয়েই কথা হতে পারে। কিন্তু এই যাবতীয় শর্তকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তানের বিদেশসচিব ইজাজ আহমেদ চৌধুরি ভারতকে আজ যে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন, তাতে আলোচনার জন্য কাশ্মীর পরিস্থিতিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। আজ ইসলামাবাদে ভারতের হাইকমিশনারের হাতে এই আমন্ত্রণ তুলে দিয়েছে পাকিস্তান। তাতে তারা জানিয়েছে, ‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী’ কাশ্মীর নিয়ে এ মাসের শেষে আলোচনা চাইছে ইসলামাবাদ।
কাশ্মীর নিয়ে এই কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে উপত্যকায়। সম্প্রতি শ্রীনগরের কাছে খ্রু এলাকায় সাবির আহমেদ মোঙ্গা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে সেনার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তদন্তের আদেশ দিয়েছিল সেনা। আজ তাদের তরফে স্বীকার করা হয়েছে, যে তল্লাশির সময়ে সাবিরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ সেই অভিযানের অনুমতিই দেওয়া হয়নি। এই ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানান নর্দার্ন কম্যান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা।
আবার এ দিনই বিক্ষোভ সামলাতে ছররা বন্দুকের ব্যবহারের বিরুদ্ধে মামলায় জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টে হলফনামা দিয়েছে সিআরপিএফ। সিআরপিএফের বক্তব্য, ছররা বন্দুকের ব্যবহার বন্ধ করলে মৃত্যু বেড়ে যেতে পারে মূলত দু’টি কারণে। এক, পরিস্থিতি চরমে উঠলে গুলি চালানো ছাড়া পথ থাকবে না। দুই, রাস্তায় বিক্ষোভ মোকাবিলার ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের আদর্শ বিধি হল, কোমরের উপরে গুলি করা যাবে না। সিআরপিএফের বক্তব্য, ‘‘বিক্ষোভকারীরা সাধারণত ছুটোছুটি করে বলে নিশানা স্থির করে গুলি চালানো কঠিন হয়। ফলে আদর্শ বিধি মেনে চলা সম্ভব হয় না।’’
এখনও কার্ফুর কবলে রয়েছে উপত্যকা। এর মধ্যেই বাদগাম এলাকার আরিপাঠানে এ দিন মিছিলের ডাক দেয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তাতে যোগ দিতে বেরনো মাত্রই গ্রেফতার করা হয় হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি ও মিরওয়াইজ ওমর ফারুককে।