গত এপ্রিল মাসে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরের দৃশ্য। ছবি: পিটিআই।
ফের পহেলগাঁওয়ের ধাঁচে হামলা করতে পারে পাকিস্তান। আশঙ্কা প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছেন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় সেনার লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল মনোজকুমার কাটিয়ার। সঙ্গে এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পাকিস্তান আঘাত হানলে প্রত্যাঘাতের জন্য তৈরি থাকবে ভারতও। প্রথম বারের চেয়ে সব দিক থেকেই আরও বিধ্বংসী হবে ‘অপারেশন সিঁদুর ২.০’!
মঙ্গলবার মনোজ বলেন, ‘‘ইসলামাবাদ অদূর ভবিষ্যতে পহেলগাঁও হামলার মতো আরও জঙ্গি হামলার চেষ্টা করতে পারে। চিরকালই পাকিস্তান বহু ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে ভারতকে রক্তাক্ত করার চেষ্টা করে চলেছে, তবে ভারতীয় সেনা এ ধরনের উস্কানির মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আর ভারতের এ বারের প্রত্যাঘাত অতীতের চেয়েও বিধ্বংসী হবে।’’
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধ বাধার সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত বাস্তব’। মনে করা হচ্ছে, পাক মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের জবাবেই এ কথা বলেছেন লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল মনোজ। ভারতের সেনাকর্তা জানিয়েছেন, সন্মুখসমরে লড়ার ক্ষমতা পাকিস্তানের নেই। তাই তারা সীমান্তের ওপার থেকেই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার ক্ষমতা ওদের নেই। ওরা যুদ্ধ করতে চায়-ও না। ওরা ভারতকে শুধু রক্তাক্ত করতে চায়।’’
চলতি বছরের মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সেনাকর্তা। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের ‘মিনি সুইৎজ়ারল্যান্ড’ হিসাবে পরিচিত পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে জঙ্গিহানায় নিহত হয়েছিলেন ২৬ জন। সেই হত্যালীলার প্রত্যাঘাত হিসাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরিকল্পনা করে ভারত। ৬ মে রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা! এর মধ্যে ছিল মুজফ্ফরাবাদ, কোটলি, বহওয়ালপুর, রাওয়ালকোট, চক্সওয়ারি, ভিম্বার, নীলম উপত্যকা, ঝিলম এবং চকওয়াল। ছোড়া হয় মোট ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র।