সংঘর্ষবিরতি ভাঙলেই ক়ড়া জবাব পাচ্ছে পাকিস্তান। আজ জম্মু-কাশ্মীরে সীমান্তরক্ষী বৈঠকে পাক বাহিনী জানাল, তারা ২০০৩ সালের সংঘর্ষবিরতি মেনে চলবে।
গত এক বছর ধরে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাশাপাশি চলছে পাক বাহিনীর হানা। কেবল মর্টার বা গোলাবর্ষণ নয়, বার বার স্নাইপার হামলাও চালিয়েছে পাক বাহিনী। স্নাইপারদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বিএসএফ জওয়ান।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি লক্ষ করেও হামলা চালিয়েছে পাক বাহিনী। এই হামলার জবাব দিতে ‘অপারেশন অর্জুন’ শুরু করে বিএসএফ। পাক স্নাইপার হামলার জবাব দিতে সীমান্তের ওপারে কৃষি খামার ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের অফিসারদের বাড়ি লক্ষ করে হামলা চালানো হয়। রেহাই পায়নি প্রাক্তন পাক সেনা অফিসারদের বা়ড়িও।
বিএসএফ জানিয়েছে, এরপরে বিএসএফের ডিরেক্টর কে কে শর্মার সঙ্গে দু’বার যোগাযোগ করেন পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর পঞ্জাব প্রদেশের ডিজি মেজর জেনারেল আসগর নাভেদ হায়াত খান। ভারতকে হামলা থামাতে অনুরোধ করে পাক বাহিনী।
বিএসএফের দাবি, পাক বাহিনীর অনুরোধেই আজ জম্মুর আরএস পুরা সেক্টরে দুই বাহিনীর সেক্টর কম্যান্ডার স্তরের বৈঠক ডাকা হয়। তাতে হাজির ছিলেন বিএসএফের জম্মু সেক্টরের ডিআইজি পি এস ধীমান ও রেঞ্জার্সের সেক্টর কম্যান্ডার আমজাদ হুসেন। সেপ্টেম্বর মাসে জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে পাক রেঞ্জার্সের প্রবল হামলা শুরু হওয়ার পরে এই প্রথম সেক্টর কম্যান্ডার স্তরে বৈঠক হলো।
আরও পড়ুন: বিকানেরে দিল্লির যুবতীকে ২৩ জন মিলে গণধর্ষণ
বিএসএফের দাবি, আজ বৈঠকে ভারতকে হামলা বন্ধ করতে অনুরোধ করে পাক বাহিনী। জানায়, তারা ২০০৩ সালের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি মেনে চলবে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়, তারা প্রথমে গুলি ছুড়বে না। কিন্তু হামলা চালালে পাকিস্তানকেও বড় ক্ষয়ক্ষতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।
পাক স্নাইপার হামলায় দুই বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর প্রবল প্রতিবাদ জানান ডিআইজি ধীমান। সেইসঙ্গে বিএসএফ স্পষ্ট জানায়, রেঞ্জার্সই বার বার বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি ভাঙছে। ভারতীয় গ্রাম ও স্থানীয় বাসিন্দাদের লক্ষ করে হামলা চালানো হচ্ছে। জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত টপকে অনুপ্রবেশের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে জঙ্গিরা। বিএসএফ সূত্রের দাবি, সেপ্টেম্বর মাস থেকে বেশ কয়েক বার অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখেছে তারা। ৪ সেপ্টেম্বর আর্নিয়া সেক্টরে এক জঙ্গি খতমও হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফিল্ড কম্যান্ডার স্তরে যোগাযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই বাহিনী।