ভারত-পাক সীমান্তের মাত্র ১০০ মিটার আগে থেমে যায় স্বয়ংক্রিয় গাড়িটি

দিন দুয়েক আগের ঘটনা। পঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ জওয়ানরা হঠাৎ দেখেন পাকিস্তানের দিকে এগিয়ে আসছে সাঁজোয়া গাড়ি। মুহূর্তে সাজো-সাজো রব পড়ে যায় গোটা সীমান্তে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের মাত্র ১০০ মিটার আগে থেমে যায় স্বয়ংক্রিয় গাড়িটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:২১
Share:

দিন দুয়েক আগের ঘটনা। পঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ জওয়ানরা হঠাৎ দেখেন পাকিস্তানের দিকে এগিয়ে আসছে সাঁজোয়া গাড়ি। মুহূর্তে সাজো-সাজো রব পড়ে যায় গোটা সীমান্তে। আন্তর্জাতিক সীমান্তের মাত্র ১০০ মিটার আগে থেমে যায় স্বয়ংক্রিয় গাড়িটি। সীমান্তের ধার ঘেঁষে কিছু দূর গিয়ে শেষে গাড়িটি ফিরে যায় নিজেদের শিবিরে।

Advertisement

উরি হামলা, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আবহে গাড়িটি দেখে চূড়ান্ত সতকর্তা জারি হয় সীমান্তে। বিএসএফের মতে, চালকহীন ওই গাড়িটিতে ক্যামেরা লাগানো ছিল। বিএসএফের ডিজি কে কে শর্মার বক্তব্য, ‘‘সীমান্তে আমাদের প্রস্তুতি কতটা সম্ভবত সেটাই মাপার জন্য পাক বাহিনীর পক্ষ থেকে ওই গাড়িটি পাঠানো হয়েছিল।’’ এ ভাবেই পাকিস্তান পশ্চিম সীমান্তেও চাপ বাড়াতে চাইছে বলে ধারণা নরেন্দ্র মোদী সরকারের শীর্ষ কর্তাদের।

ওই ঘটনার পরে কোনও ঝুঁকি নেয়নি বিএসএফ। কেন্দ্রের কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্তে আধাসেনা বাড়ানোর দাবি জানায় তারা। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে দ্রুত পশ্চিম সীমান্তে চার ব্রিগেড বাড়তি বিএসএফ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় নর্থ ব্লক। গতকাল লাদাখের পরে আজ কার্গিল ও দ্রাস এলাকার সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সীমান্তে সেনা প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন সেনা কর্তাদের সঙ্গে।

Advertisement

এ দিন অবশ্য ভোর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জম্মু-কাশ্মীর সীমান্ত। কূটনৈতিক ভাবে উভয় পক্ষই সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা শুরু করলেও, তার কোনও বাস্তব প্রতিফলন এখনও নিয়ন্ত্রণরেখায় দেখা যাচ্ছে না। এ দিন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জম্মু-কাশ্মীরের নওশেরা ও আখনুর সেক্টরে ভারতীয় পোস্ট লক্ষ করে গুলি ও মর্টার ছোড়ে পাক সেনা। জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, আগামী কিছু দিন সীমান্তে হামলা চালিয়ে যাবে পাকিস্তান। শীত আসছে। তার আগে যত বেশি সংখ্যক জঙ্গি অনুপ্রবেশ করাতে চাইছে পাক সেনা।

এরই মধ্যে পঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে ইরাবতী নদীতে পাকিস্তানের একটি ডিঙি নৌকো উদ্ধার করেছে বিএসএফ। আজ ভোরে ওই নৌকোটি পাকিস্তানের দিক থেকে অমৃতসরের দিকে ভেসে আসে। জলপথে হানার আশঙ্কা থাকায় এখন পাক নৌকো নিয়ে সতর্ক সীমান্তরক্ষীরা। তবে এই নৌকোটিতে একটি পাকিস্তানি পতাকা ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিএসএফের ডিআইজি আর এস কাটারিয়া। তিনি জানান, পরে ফ্ল্যাগ মিটিং-এ পাক রেঞ্জার্সও পাকিস্তান থেকে নৌকো ভেসে আসার কথা মেনে নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, দু’টি পাক নৌকো করাচি থেকে ভারতীয় জলসীমার দিকে আসছে বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement