India

‘অ্যাবোট্টাবাদের কথা মনে রাখবেন’, রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক ডসিয়ের নিয়ে খোঁচা ভারতের

সম্প্রতি নাগরোটা কাণ্ডেও পাকিস্তানকেই দায়ী করেছে ভারত। গত সোমবারই এ নিয়ে তথ্যপ্রমাণ আন্তর্জাতিক মহলের হাতে তুলে দিয়েছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০২০ ১৫:২১
Share:

আমেরিকার বাহিনীর হামলার পর ওসামা বিন লাদেনের আস্তানা।— ফাইল চিত্র

ভারত ‘সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে’। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেসকে ঠিক এই ভাষাতেই অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদকে কড়া জবাব দিয়ে এ বার নয়াদিল্লি স্মরণ করিয়ে দিল অ্যাবোট্টাবাদের কথা। আমেরিকার বাহিনীর হাতে খতম হওয়ার আগে পাকিস্তানের ওই শহরেই বহাল তবিয়তে ছিল আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেন।

Advertisement

মঙ্গলবার ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে বোমাটা ফাটান রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তানের থেকে সাজানো তথ্য এবং গুরুত্বহীন বয়ান পাওয়া নতুন কিছু নয়। পাকিস্তান রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় থাকা সন্ত্রাসবাদী এবং জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির আশ্রয়দাতা। অ্যাবোট্টাবাদের কথা মনে রাখবেন’! পাকিস্তানের ওই ডসিয়েরের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলেও জানিয়েছেন ত্রিমূর্তি।

ঘটনার সূত্রপাত রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক রাষ্ট্রদূত মুনির আক্রমের একটি পদক্ষেপকে ঘিরে। ইমরান খান সরকারের ইশারায় মুনির ডসিয়ের তুলে দেন গুতারেসের হাতে। পাক সরকারের নিশানা ছিল ভারত। ওই ডসিয়েরের মূল কথা, ‘ভারত সন্ত্রাসবাদে মদত দিচ্ছে’। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই পাল্টা তোপ দাগেন ত্রিমূর্তি। ২০১১ সালে অ্যাবোট্টাবাদে আমেরিকার নেভি সিলের হাতে নিহত হওয়া আল কায়দা প্রধানের কথা তুলে ধরেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: কে কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সব জানি, দলকে কড়া বার্তা মমতার

আরও পড়ুন: ধর্ষকের শাস্তি পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়া, সিদ্ধান্ত ইমরানের

সম্প্রতি নাগরোটা কাণ্ডেও পাকিস্তানকেই দায়ী করেছে ভারত। গত সোমবারই এ নিয়ে তথ্যপ্রমাণ আন্তর্জাতিক মহলের হাতে তুলে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের অভিযোগ পুলওয়ামার মতো নাগরোটাতেও বড়সড় হামলার ছক কষেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ। পাকিস্তান যে বরাবর সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে আসছে তার তথ্যপ্রমাণ আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং জাপানের হাতে তুলে দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। গত ১৯ নভেম্বর নাগরোটায় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় ৪ পাক জঙ্গি। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন