ধৃত নির্মল রাই। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির সন্দেহ। সেনা আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার এক যুবক। ইন্দো-চিন সীমান্তের অরুণাচল প্রদেশ থেকে ৬ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের হাতে। ধৃতের নাম নির্মল রাই। অসমের তিনসুকিয়া জেলার অম্বিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা সে। গতবছর অক্টোবর থেকে অরুণাচলের আনজ-এ সেনাবাহিনীর মালবাহক হিসাবে কাজ করছিল।
রাজ্য পুলিশের ডিজি এসবিকে সিংহ জানান, ‘‘নির্মল আদতে নেপালি। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দুবাইয়ে একটি বার্গার রেস্তঁরায় কাজ করত। সেখানেই পাকিস্তানি চরদের সঙ্গে আলাপ তার। ফিরে এসে অরুণাচলে সেনাবাহিনীর মালবাহক হিসাবে কাজ করতে শুরু করে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন (এলএসি) কিবিতু এবং দিচু পোস্টেই মূলত কাজ করত সে। সেখান থেকেই দুবাইয়ে পাকিস্তানি হ্যান্ডলারদের সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য পাচার করত।’’
সেনা সূত্রে সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে জানানো হয়েছে, দুবাইতেই গোপনে ছবি ও ভিডিয়ো তোলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় নির্মলকে। তার পর তাকে পাঠানো হয় অরুণাচলপ্রদেশে। সেখানে ওই কাজের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করে সেনা। সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় নির্মল। মালবাহক হিসাবে কাজে যোগ দেয় এবং গোপন তথ্য পাচার করতে শুরু করে। গতিবিধি সন্দেহজনক ঠেকায় গত একমাস ধরেই তার গতিবিধির উপর নজর ছিল গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি আবশ্যিক! নয়া শিক্ষা নীতি ঘিরে জোর জল্পনা
আরও পড়ুন: চিটফান্ড তদন্তে সক্রিয় হচ্ছে সিবিআই, তলব করা হতে পারে প্রভাবশালীদের
হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভিডিয়ো কলিং অ্যাপের মাধ্যমে নির্মল তথ্য পাচার করত বলে আপাতত ধারণা তদন্তকারীদের। তাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা প্রযুক্তি, বিমানক্ষেত্র, সেনা ইউনিটের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য ছিল। সেনার হাতে কী কী কামান এবং অস্ত্র রয়েছে, ছিল সেই তথ্যও।
নির্মলের কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন উদ্ধার হয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র আইনের ১২০ (বি)এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৭২ ধারায় (গোপনীয়তা রক্ষা) মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে।