Murder

Chattisgarh: রান্না করতে না পারার ‘শাস্তি’, ১২ বছরের মেয়েকে খুন বাবার, দেহ সরাতে সাহায্য মায়ের

কাজ থেকে ঘরে ফিরে মেয়েকে বেধড়ক মারধর করেন বাবা। মারের চোটে মেয়ের মৃত্যুর পর দেহ লোপাট করে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন স্বামী-স্ত্রী!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রাঁচি শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২২ ১৩:৪৪
Share:

জঙ্গলে গিয়ে মেয়ের দেহ পুঁতে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবা-মা! প্রতীকী চিত্র।

১২ বছরের মেয়ে কেন সময় মতো রান্না করতে পারেনি। এ নিয়ে বাবা-মায়ের রাগ এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে মেয়েকে খুন করলেন বাবা। তার পর সবার অজান্তে জঙ্গলে গিয়ে দেহ পুঁতে দেন তাঁরা! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের সরগুজা জেলায়। ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি গত জুন মাসের। ওই দম্পতি মেয়ে নিখোঁজের ডায়েরি করতে এসেছিলেন থানায়। গত দু’মাস ধরে নাবালিকাকে তন্নতন্ন করে খোঁজে পুলিশ। কিন্তু তদন্তের পরে তারা জানতে পারে মেয়েটিকে খুন করেছে তার বাবা! পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৮ জুন কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন বিশ্বনাথ এক্কা। এসে দেখেন মেয়ে রান্না করেনি। পোষ্যদেরও খাবার দেয়নি। রাগের চোটে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন মেয়েকে। মারের চোটে বাড়ির মেঝেতে পড়ে যায় মেয়েটি। মাথায় আঘাত লেগে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। সে সময় মেয়েটির মা বাড়িতেই ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে জঙ্গলে গিয়ে মেয়ের দেহ গর্ত খুলে পুঁতে দেন। এর পর মিথ্যা নিখোঁজ ডায়েরি করতে যান থানায়।

পুলিশি জেরায় বিশ্বনাথ স্বীকার করেছেন রাগের মাথায় মেয়েকে খুন করে ফেলেছেন। তিনি নিজে পুলিশকে জানান, বাড়ি ঢুকে খাবার পাননি। তার পর জানতে পারেন গবাদি পশুগুলোরও তখনও খাওয়া হয়নি। তাতে নাকি মাথা ঠিক রাখতে পারেননি তিনি।

Advertisement

এর পর গত সোমবার পুলিশ গিয়ে জঙ্গল থেকে মেয়েটির পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। পাওয়া যায় পরনের ফ্রক, পায়ের জুতো। ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (খুন), ২০১ ধারা (অপরাধের প্রমাণ লোপাট)-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বাবা-মায়ের এ হেন কাণ্ডে তদন্তকারীরাও কার্যত চমকে গিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন