Same Sex Marriage

সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া হোক, দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে আর্জি বাবা-মায়েদের

সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতার আর্জি নিয়ে তাঁদের সন্তানেরা যখন আদালতে লড়ছেন, তখন বাবা-মায়েরাও সংঘবদ্ধ হয়েছেন। সেই গোষ্ঠীর তরফেই প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লেখা হয়েছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:১৫
Share:

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ফাইল চিত্র।

সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখলেন এলজিবিটিকিউআইএ গোষ্ঠীভুক্তদের চারশোরও বেশি বাবা-মা। তাঁরা লিখেছেন, তাঁদের সন্তানেরা যাতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় বিবাহের বৈধতা পায়, সেই বিষয়টি দেখে যেতে চান তাঁরা। সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আজ চতুর্থ দিনের শুনানিতেও এই গোষ্ঠীর পক্ষের আইনজীবীরা বিভিন্ন যুক্তি হাজির করে এই ধরনের বিবাহের স্বীকৃতির জন্য সওয়াল করেছেন।

সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতার আর্জি নিয়ে তাঁদের সন্তানেরা যখন আদালতে লড়ছেন, তখন বাবা-মায়েরাও সংঘবদ্ধ হয়েছেন। সেই গোষ্ঠীর তরফেই প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লেখা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে লেখা চিঠিতে ভারতে বিবাহের সমানাধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছেন বাবা-মায়েরা। লিখেছেন, সন্তানদের জীবন ও যৌনতার ভাবনার কথা অনুভব করে একে গ্রহণ করেছেন তাঁরা। এখন এই বিবাহের আইনি বৈধতা চাইছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘যাঁরা এই ধরনের বিবাহের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কারণ, একসময় আমাদের মধ্যে অনেকে ওই পক্ষেই ছিলাম। কিন্তু শিক্ষা, আলোচনা আর ধৈর্যের মধ্য দিয়ে আমরা বুঝেছি, আমাদের সন্তানদের ভাবনা ও অনুভূতি যথার্থ। আজ যাঁরা সমলিঙ্গ বিবাহের বিরোধিতা করছেন, একদিন তাঁরাও আমাদের শরিক হবেন।’’

সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে সমলিঙ্গ বিবাহের পক্ষের আইনজীবীরা আজ তাঁদের যুক্তি হাজির করেছেন। আইনজীবী গীতা লুথরা বলেন, জি-২০ গোষ্ঠীর ১২টি দেশ ইতিমধ্যেই সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফলে ভারতেরও পিছিয়ে থাকা উচিত নয়।

সমলিঙ্গ বিবাহকে ‘অভিজাত শ্রেণির ভাবনা’ হিসেবে তুলে ধরে মোদী সরকার। আজ শুনানির সময় বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট আইনজীবী মীনাক্ষী গুরুস্বামীকে প্রশ্ন করেন, ভারতে অনেক বৈচিত্র রয়েছে। আপনারা কি এই গোষ্ঠীর সবার কথা তুলে ধরছেন? হয়তো অনেকের কথা শোনা হচ্ছে না। মীণাক্ষী জবাব দেন, সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞায় যাঁরা যোগ দিতে চান, তাঁরা যোগদান করবেন। যাঁরা চান না, তাঁদের এই পথে আসার প্রয়োজন নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন