দলের জাতীয় পরিষদের বৈঠকেই ঘোষণাটা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানিয়ে দিলেন, আগামী ২ অক্টোবর জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি অনুমোদন করতে চলেছে ভারত।
গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে উষ্ণায়ন কমানোর লক্ষ্যে একযোগে পদক্ষেপ করতে সহমত হয় ১৯০টিরও বেশি দেশ। উষ্ণায়নে ক্ষতিগ্রস্ত অনুন্নত দেশগুলির জন্য অর্থসাহায্যেরও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু চুক্তিটি তখনই কার্যকর হবে তখনই, যখন তা অনুমোদন করবে সেই ৫৫টি দেশ, যারা গোটা বিশ্বের মোট ৫৫ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপাদনের জন্য দায়ী। এই মুহূর্তে এর প্রায় ৫ শতাংশ গ্যাস উৎপাদনের দায় বর্তাচ্ছে ভারতের উপরে। কিন্তু উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে প্রভাব পড়ার কথা ভেবেই এত দিন এ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চায়নি দিল্লি। এমনকী সাম্প্রতিক জি-২০ সম্মেলন চলাকালীনও শোনা যায়, চলতি বছরের মধ্যে প্যারিস চুক্তি অনুমোদনের কথা ভাবছে না ভারত।
কিন্তু আজ কোঝিকোড়ের মঞ্চে খানিকটা আচমকাই মোদী এই ঘোষণা করে দেন। তিনি বলেন, ‘‘গত বছরের সম্মেলনের একটা কাজ বাকি ছিল। সেটি হল জলবায়ু চুক্তিটি অনুমোদন করা। এ দিন দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীতে আমি ঘোষণা করলাম, গাঁধী জয়ন্তীতেই ভারত চুক্তিটি অনুমোদন করবে।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সমুদ্র-লাগোয়া দেশ ও শহরগুলি। যে কেরলে এখন বিজেপির সম্মেলন বসেছে, সেটিও উপকূল-লাগোয়া।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী অনিলমাধব দাভে বলেন, ‘‘এ এক বিরাট পদক্ষেপ। লক্ষ্য স্থির করাই আছে। প্রথমে এগিয়ে আসবে ৫৫টি দেশ। তার পর আসবে আরও অনেকেই।’’