শুক্রবার রাজ্যসভায় মনোহর পর্রীকর। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যসভা থেকে বিদায় নিতে গিয়েছিলেন। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, সুতরাং এ বার তাঁকে গোয়া বিধানসভার সদস্য হতে হবে। শুক্রবার রাজ্যসভায় নিজের বিদায়ী ভাষণে সকলকে ধন্যবাদই দিলেন মনোহর পর্রীকর। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ দিগ্বিজয়ের সিংহের প্রতি পর্রীকরের ‘ধন্যবাদ’টা কটাক্ষ হয়ে উঠল। আর তাতেই বেজায় চটে গেলেন রাজ্যসভার কংগ্রেস সদস্যরা। পোডিয়ামের সামনে এসে তুমুল হইচই জুড়ে দিলেন তাঁরা।
৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় ১৩টি আসন পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছে ১৭টি। অর্থাৎ কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, কিন্তু এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। ৪টি আসন বেশি পাওয়া কংগ্রেসকে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় বসতে দেয়নি বিজেপি। এমজিপি, জিএফপি, এনসিপির মতো ছোট দলগুলির সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে গেরুয়া শিবির। তিন নির্দল বিধায়ককেও দলে টেনে নেয় তারা। ছোট দলগুলির দাবি ছিল, মনোহর পর্রীকরকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। বিজেপি তাতেই রাজি হয়। ভোটের ফল ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে ইস্তফা দিয়ে নিজের রাজ্যে ফেরেন পর্রীকর। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং আস্থা ভোটেও জিতে যান।
পর্রীকরের কটাক্ষে প্রবল রেগে গেলেন দিগ্বিজয়। ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেস বেশি আসন পেয়েও সরকার গঠন করতে না পারায় দলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা বিশ্বজিৎ রাণে আস্থা ভোটের সময় বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। বিধায়ক পদেও ইস্তফা দেন। এআইসিসির তরফে গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় পর্যবেক্ষক দিগ্বিজয় সিংহের অপদার্থতাতেই কংগ্রেস গোয়ায় সরকার গড়তে পারেনি বলে অধিকাংশ বিধায়ক দলীয় বৈঠকে ক্ষোভ উগরে দেন। বিষয়টি নিয়ে দিগ্বিজয় নিজে তো বটেই, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও অস্বস্তিতে রয়েছে। রাজ্যসভা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় মনোহর পর্রীকর শুক্রবার সেই অস্বস্তিই আরও খুঁচিয়ে দিলেন।
মনোহর পর্রীকর এ দিন বলেন, ‘‘আমি বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি মাননীয় সদস্য দিগ্বিজয় সিংহকে, যিনি গোয়ায় ছিলেন কিন্তু কিছুই করেননি, যাতে আমি সরকার গঠন করতে পারি।’’ পর্রীকরের এই মন্তব্যে কংগ্রেস সাংসদরা অত্যন্ত বিব্রত হন এবং আসন ছেড়ে উঠে যান চেয়ারম্যানের পোডিয়ামের সামনে। পর্রীকরের মন্তব্যের প্রবল বিরোধিতা শুরু করেন তাঁরা।