ইস্তফা দিতে প্রস্তুত, মন্তব্য পার্থসারথির

করিমগঞ্জের উপ-পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিতেও রাজি পার্থসারথি দাস। পুরসদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি এমনই জানিয়ে দিলেন স্থানীয় বিধায়ককে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৬ ০৩:৩৮
Share:

করিমগঞ্জের উপ-পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিতেও রাজি পার্থসারথি দাস। পুরসদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি এমনই জানিয়ে দিলেন স্থানীয় বিধায়ককে।

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই কংগ্রস পুরসদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। একাংশ পুরসদস্য করিমগঞ্জের পুরপতি শিখা সূত্রধরকে সরানোর দাবি তুলেছেন। অন্যপক্ষ চাইছেন উপ-পুরপ্রধানের ইস্তফা।

করিমগঞ্জ পুরসভার ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টি কংগ্রেসের দখলে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ শহরে অনেক কম ভোট পেয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরই এ নিয়ে পুরসভার উপর চাপ বাড়তে থাকে। গত রাতে করিমগঞ্জের আবর্ত ভবনে বিধায়ক কমলাক্ষবাবু পুরসদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানে বিভিন্ন বক্তা পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুরসদস্য যিশুকৃষ্ণ রায় উপ-পুরপ্রধানের কাজকর্মের সমালোচনা করেন। অন্য দিকে পুরসদস্য বিশ্বজিত দাস বলেন, ‘‘পুরপ্রধান থাকাকালীন উপ-পুরপ্রধানের কোনও ক্ষমতা নেই। তাই তাঁর উপর ক্ষোভপ্রকাশ করা অর্থহীন।’’ উপ-পুরপ্রধান জানান, পুরবোর্ডের অনুমোদন ছাড়াও টাকা খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে
লাগাম টানা হচ্ছে না। অনেকে তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি যে কোনও সময় ইস্তফা দিতে প্রস্তুত।

Advertisement

পরে অন্য পুরসদস্যরা জানান, উপ-পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ নেই। করিমগঞ্জ পুরসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার যে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছিল, তা কার্যকর করা হল না কেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুরপ্রধান শিখা সূত্রধর জানান, নেতাজি মেলার টাকা এখনও পুরসভার তহবিলে জমা পড়েনি। সে কারণেই ওই টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। করিমগঞ্জ পুরসভাকে কেন্দ্র করে পুরপ্রধান ও উপ-পুরপ্রধানের মধ্যে দ্বন্দ্ব সবার সামনে ভেসে ওঠে। বচসার জেরে পুরসদস্যদের নিয়ে বিধায়কের বৈঠক কার্যত ভেস্তে যায়।

করিমগঞ্জ পুরসভা ভেঙে ফেলার চক্রান্ত রাজ্যের শাসক বিজেপি সদস্যদের একাংশ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের পুরসদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন