অমতের বিয়েতে চাপ, ঝাঁপ ডাক্তার তরুণীর

আপাত ভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ তাঁর মোবাইল থেকে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৪৪
Share:

আপাত ভাবে একে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রতীকী ছবি।

তিলক অনুষ্ঠান গিয়েছে গত কাল। আজ, বিয়ের আগের দিন চোদ্দো তলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হল তরুণী চিকিৎসকের। পটনা শহরের কোতোয়ালি থানার উদয়গিরি বহুতলে আজ সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত স্নিগ্ধা কুমারীর বাবা উমাশঙ্কর সুধাংশু অবসরপ্রাপ্ত আইজি। তিনি পটেল নগরের স্নেহ লেনে থাকেন। আজ সকালেই স্নিগ্ধা উদয়গিরি আবাসনে আসেন। আবাসনের ছাদ থেকে স্নিগ্ধার মোবাইল, চশমা, চপ্পল, একটি টুল ও চেয়ার উদ্ধার করেছে পুলিশ। আপাত ভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ তাঁর মোবাইল থেকে তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

Advertisement

স্নিগ্ধা কলকাতায় স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করছিলেন। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, কলকাতায় পড়াশোনার সময়ে চিকিৎসক বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় স্নিগ্ধার। কিন্তু বাড়ির লোকজন তা মেনে নেননি। তাঁরা কিষাণগঞ্জের জেলাশাসকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন। এই বিয়েতে প্রথম থেকেই অমত ছিল স্নিগ্ধার।

মৃত্যুর খবর পেয়ে পটনার জেলাশাসক কুমার রবি এবং এসএসপি মনু মহারাজ ঘটনাস্থলে যান। ফরেনসিক টিম ডাকা হয়। বিষয়টির সঙ্গে প্রেমঘটিত বিষয় রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। আত্মহত্যা করার জন্য বাড়ি থেকে টুলটি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন স্নিগ্ধা। আত্মহত্যার জন্য শহরের বেশ কয়েকটি বহুতল ঘুরেও দেখেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। গাড়িচালক কৃষ্ণ যাদব পুলিশকে জানিয়েছেন, দু’দিন আগেও এক বার উদয়গিরি আবাসনে এসেছিলেন স্নিগ্ধা। আজ সকাল সাতটা নাগাদ ফের আসেন। আবাসনের রক্ষীরা জানিয়েছেন, ১২ তলায় পরিচিতেরা থাকেন, এই কথা বলে ঢুকেছিলেন তিনি। কিন্তু ছাদের দরজা কেন খোলা ছিল তার উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: চাদর-চাপা শিশুপুত্রের দেহ, ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলেন মা

আরও পড়ুন: শিশুকে গণধর্ষণ, খোঁজ স্কুলের গাড়িচালকের

পটনা বিমান বন্দরের কাছে বিএমপি ময়দানে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রাজ্যের নেতা, মন্ত্রী থেকে সরকারি আধিকারিকদের হাজির হওয়ার কথা ছিল। বিয়ে উপলক্ষে পটনায় প্রায় সব জেলা থেকে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা হাজির হয়েছিলেন। ভিন্ রাজ্য থেকেও আইএএস, আইপিএসরা এসেছেন। গোটা ঘটনায় সকলেই স্তম্ভিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement