কাশ্মীরে ভারত-পাক বাণিজ্যপথ বন্ধ হোক, চান না মুফতি

সম্প্রতি এনআইএ-র তদন্তে উঠে এসেছিল একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে ভারত-পাক বিনিময় বাণিজ্য চালু করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ২০:৪৬
Share:

শ্রীনগরে জনসভায় মেহবুবা মুফতি।—পিটিআই।

কাশ্মীর ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ না করার পক্ষে জোর সওয়াল করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। পিডিপি’র প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে একটি জনসভায় তিনি জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে উরি-মুজফফরপুর বাণিজ্যপথ বন্ধ করতে দেবেন না তিনি। এই বাণিজ্যপথ দিয়ে বেআইনি মাদক পাচারের তথ্য স্বীকার করে নিলেও সেই পথটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে নারাজ মুফতি। বরং আরও কয়েকটি বাণিজ্যপথ খোলার পক্ষেই যে তাঁর মত, সে অবস্থানটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন পিডিপি নেত্রী। ওয়াঘা সীমান্ত দিয়েও পাকিস্তান থেকে এ দেশে মাদক ঢুকছে, কিন্তু কেউ তো সেই পথ বন্ধ করা নিয়ে উচ্চবাচ্য করেন না, এ দিনের জনসভা থেকে এমনই তোপ দাগেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

সম্প্রতি এনআইএ-র তদন্তে উঠে এসেছিল একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে ভারত-পাক বিনিময় বাণিজ্য চালু করা হয়। কিন্তু এখন সেই বিনিময় বাণিজ্যকে কাজে লাগিয়ে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে টাকা ঢালছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে এই বিনিময় বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে সুপারিশের সিদ্ধান্তও নেয় এনআইএ। তবে কেন্দ্র যাতে এই ধরনের পদক্ষেপ না করে, আগেভাগে পিডিপি’র মতামতটি বুঝিয়ে দিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: শপথ নিল নীতীশের নয়া মন্ত্রিসভা

Advertisement

গত শুক্রবারও দিল্লিতে ব্যুরো অব রিসার্চ অন ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইকোনমিক্যাল ফান্ডামেন্টালস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মেহবুবা বলেন, ‘‘কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা তুলে নেওয়া হলে সব কিছুই বিপ‌র্যস্ত হয়ে পড়বে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক অধিকার হরণ করলে অথবা রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা আইন বিলোপ করলে উপত্যকায় আর কেউ তেরঙা হাতে তুলবেন না।’’ মুফতির এমন মন্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ দিন আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন