বিরল অস্ত্রোপচার, হার্ট থেকে বেরোল পেন্সিল

ছোট্ট একটি পেন্সিলের জন্য মরতে বসেছিল ছ’বছরের চরণ। তার হার্টে ঢুকে গিয়েছিল একটি ছুঁচলো পেন্সিল। কোনও ভাবেই বাঁচার সম্ভাবনা ছিল না তার। সোমবার হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিত্সক সমীর দিওয়ালির নেতৃত্বে কার্যত অসাধ্যসাধন করলেন এক দল চিকিত্সক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৫ ১৫:৫৪
Share:

ছোট্ট একটি পেন্সিলের জন্য মরতে বসেছিল ছ’বছরের চরণ। তার হার্টে ঢুকে গিয়েছিল একটি ছুঁচলো পেন্সিল। কোনও ভাবেই বাঁচার সম্ভাবনা ছিল না তার। সোমবার হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিত্সক সমীর দিওয়ালির নেতৃত্বে কার্যত অসাধ্যসাধন করলেন এক দল চিকিত্সক। তাঁরা সফল অস্ত্রোপচারের পর বের করে আনলেন হার্টের মধ্যে এক সেন্টিমিটার পর্যন্ত ঢুকে যাওয়া ওই ‘মারণ’ পেন্সিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ আছে ছেলেটি।

Advertisement

চরণের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল ছুটির পর দৌড়ে দৌড়ে বাড়ি ফিরছিল সে। তখনই রাস্তার ওপর পড়ে যায়। ব্যাগ থেকে ছিটকে পড়ে বই, খাতা। তার শার্টের বুক পকেটে ছিল একটি ছুঁচলো পেন্সিল। যা তার হার্টে ঢুকে গিয়েছিল। অত্যধিক রক্তক্ষরণে অজ্ঞান হয়ে যায় চরণ। প্রথমে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওয়ারাঙ্গালের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে আপত্কালীন চিকিত্সার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় চরণকে নিয়ে যাওয়া হয় হায়দরাবাদে।

সেখানে চিকিত্সকরা স্ক্যান করার পর দেখেন পেন্সিলটি এক সেন্টিমিটার পর্যন্ত ঢুকে হার্টের একটি অংশ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রথমে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে তার ব্যথা কমানোর ব্যবস্থা করেন চিকিত্সকরা। কোনও রকম সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে দেওয়া হয় টিটেনাস ইনজেকশনও। এর পর চিকিত্সক সমীর দিওয়ালির নেতৃত্বে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত অস্ত্রোপচারেরের সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চরণ এখন ভাল আছে। আর একটু সুস্থ হয়ে উঠলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। চরণের মা জানিয়েছেন, “আমরা শুধু প্রার্থনা করছিলাম। ১১ তারিখই ওর জন্মদিন ছিল। আমার ছেলেকে পুনর্জন্ম দেওয়ার জন্য চিকিত্সকদের ধন্যবাদ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement