প্রবল ঝড়ের দাপটে অসম ও নাগাল্যান্ডের বহু জেলা বিপর্যস্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন স্থানে বাজ পড়ে ও গাছ পড়ে অন্তত ছ’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নাগাল্যান্ডের মন, মককচং ও জুনেবটো জেলার বহু গ্রামে ঝড়ের ফলে বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে দোকান-ঘর, স্কুল ও গির্জাও। টিজিট শহরে গাছ উপড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। স্কুলে গাছ পড়ে এক ছাত্র জখমের খবরও এসেছে। টিরুতে ঝড়ে বহু গবাদি পশু মারা গিয়েছে। অসমের শোণিতপুর জেলার ঢেকিয়াজুলি মহকুমায় বিভিন্ন গ্রাম মিলিয়ে ঝড়ে প্রায় ৮৫০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙেছে ৯টি স্কুল ও বেশ কিছু নামঘর। আমতল ভেরাগাঁওয়ের তারামণি কর্মকার গাছ চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন। গোলাঘাট জেলার বোকাখাতে অন্তত ৪০টি গ্রাম ঝড়ে বিধ্বস্ত। গাছ পড়ে মারা গিয়েছেন বামুনচাপড়ির ভোলা পাসুং। জখমের সংখ্যা ৯। শিবসাগরের সোনারিতে ঝড়ের তাণ্ডবে গ্রামের বহু মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। বাড়ি ভেঙে জখম হয়েছে দুই কিশোর। বড়োভূমি ও পশ্চিম অসমেও ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের খনার পারে বাজ পড়ে জেসমিনা খাতুন নামে এক কিশোরী মারা গিয়েছে। জখম হয় ওই পরিবারের নূর হুসেন ও সামরিন নেসা। কামরূপের বকো শিঙিমারিতে বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন আইনুল হক। গত রাতে কোকরাঝাড়ে বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন হেমলা নার্জারি ও কিলেট বড়ো।