প্রশাসন ছিল নির্বিকার। বার বার আবেদনেও কাজ হয়নি। তাই পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও নালিশ জানিয়েছিলেন হাইলাকান্দির লালা সার্কেলের সর্বানন্দপুর এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু লাভ হয়নি। গরমের শুরুতেই তাই সর্বানন্দপুরে জলের হাহাকার ছড়িয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর মিলেছে, গত ৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে জলের সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আধিকারিক অলোক সুমন অসমের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের অতিরিক্ত সচিব ৩ জানুয়ারি জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগের প্রধান সচিবকে সর্বানন্দপুর গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কিন্তু তার পরও সমস্যার সমাধান হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁরা জানান, ২০১৬ সাল থেকে এলাকায় বিভিন্ন পানীয় জল প্রকল্প কার্যত বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় পানীয় জল প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী সামসউদ্দিন জানান, নদী থেকে জল তোলার যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ায় জল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।
এ দিকে, কাছাড়ের ভূগর্ভস্থ জলের বিশুদ্ধতা পরীক্ষায় সমীক্ষার কাজ হাতে নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তবে সরকারি কর্মীদের এই কাজে লাগানো হয়নি। এমনকী, স্থানীয় জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের অফিসাররা এ বিষয়টি জানেন না। একটি বেসরকারি সমীক্ষক সংস্থা কাছাড়-সহ বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব পেয়েছে। তারা প্রাথমিক স্তরের কাজকর্মের জন্য অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র পরামর্শে কেন্দ্র জল-সমীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিল্পায়ন, উদারীকরণ, নগরায়ন, বৃক্ষনিধন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে জল নিয়ে বিশেষ ভাবে ভাবতে হু ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছিল। কেন্দ্র প্রথম দফার সমীক্ষার জন্য যে কয়েকটি জেলাকে বাছাই করেছে, কাছাড় তাদের মধ্যে একটি। এখানে সমীক্ষার দায়িত্ব নিয়ে কাজে নেমেছে আগরতলা ও গাজিয়াবাদের দু’টি সংস্থা।
আগরতলার ওই বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টর প্রণয় গোস্বামী জানিয়েছেন, প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করবেন।