পরিচ্ছন্ন গ্রাম হাফলঙের জায়ন

স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে ডিমা হাসাওয়ের জায়নকে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম’ হিসেবে ঘোষণা করা হল। প্রজাতন্ত্র দিবসে ওই স্বীকৃতি পেল রাংখল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ওই গ্রাম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২০
Share:

স্বচ্ছ ভারত মিশনের অধীনে ডিমা হাসাওয়ের জায়নকে ‘পরিচ্ছন্ন গ্রাম’ হিসেবে ঘোষণা করা হল। প্রজাতন্ত্র দিবসে ওই স্বীকৃতি পেল রাংখল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ওই গ্রাম।

Advertisement

হাফলং এন এল দাওলাগোপু স্পোর্টস কমপ্লেক্সে প্রজাতন্ত্র দিবসে জায়ন গ্রামকে নগদ ১ লক্ষ টাকা, শংসাপত্র তুলে দেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সিইএম দেবলাল গারলোসা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর দেবলাল গারলোসা জানান, পাহাড়ি জেলার জাতি-জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে পরিষদ গঠিত হলেও কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতির জেরে তা সম্ভব হয়নি। কংগ্রেসের আমলে জেলার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ১ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিমা হাসাওয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের উপ-সঞ্চালক রেদাউল হুসেন খান জেলে বন্দি রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপি সরকার। পরিষদেও তাই। ৬ মাসে বিজেপি পাহাড়ি জেলায় দুর্নীতিদমনে কাজ করেছে।’’ দেবলাল জানান, ২০১৮ সালের মধ্যে দীনদয়াল উপাধ্যায় বৈদ্যুতিকরণ প্রকল্পে ডিমা হাসাও জেলার প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌছে যাবে। পাহাড়ি জেলার রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে তীব্র গতিতে। কেন্দ্রের তরফে পাহাড়ি জেলার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তা দিয়ে উমরাংশু ও পানিমূরে ইকো-টুরিজম পার্ক, দিল্লিতে ডিমাসা ভবন ও গুয়াহাটিতে ডিমা হাসাও জেলার পড়ুয়াদের জন্য ছাত্রাবাস করা হচ্ছে।

পতাকা উত্তোলনের পর প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে পুলিশ, এনসিসি-র অভিবাদন গ্রহণ করেন সিইএম। এ বার ডিবারাই মহিলা সমিতি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নেয়। পাহাড়ি জেলার ১৪টি জাতি-জনগোষ্ঠীর পরম্পরাগত লোকনৃত্য দেখানো হয়।

Advertisement

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রঞ্জিত হাজরিকা, পুলিশ সুপার বিবেক রাজ সিংহ, ৪৩ আসাম রাইফেলের কম্যান্ডিং অফিসার গগন পাণ্ডে, পার্বত্য পরিষদ চেয়ারপার্সন রানু লাংথাসা, পরিষদের ইএম-সহ সরকারি অফিসাররা।

হাইলাকান্দিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমণ্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে বলে জানালেন জেলাশাসক মলয় বরা। গত কাল প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর জেলাশাসক বলেন, ‘‘জেলার রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে খুব ভাল সমণ্বয় রয়েছে। তারা মিলেমিশে উন্নয়নের কাজ করছে।’’ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কথা তুলে তিনি জানান, গরিব মানুষের জন্য ঘর গড়ে দিচ্ছে সরকার। প্রতিটি জেলায় বিবেকানন্দ সভাগৃহ নির্মাণ করা হবে।

লালা, কাটলিছড়া, আলগাপুরেও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement