কর্নাটকের ভোট প্রচারে গিয়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকার খনি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত রেড্ডিদের এক ভাইয়ের সঙ্গে এক মঞ্চে দাঁড়ালেন নরেন্দ্র মোদী।
আজও ‘দাগি’ রেড্ডিদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাহুল গাঁধী। বলেন, ‘‘গব্বর সিং-এর গোটা দলটাকেই ভোটে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন মোদী। গব্বর, সাম্ভা, কালিয়ারা সবাই প্রার্থী। যে রেড্ডি ভাইয়েরা জেলে ছিল, তাদেরও বিধানসভায় পাঠাতে চাইছেন মোদী।’’ বল্লারিতে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে সিদ্দারামাইয়া মোদীর উদ্দেশে টুইট করেন, ‘‘৩৫ হাজার কোটি টাকার খনি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রেড্ডিদের নিয়ে মুখ খুলতে ভুলে যাবেন না।’’ কিন্তু সমালোচনায় তোয়াক্কা না করে মোদীকে দেখা গেল বিজেপি প্রার্থী, রেড্ডিদের দ্বিতীয় ভাই, সোমশেখর রেড্ডির হয়ে প্রচার করতে। বল্লারিতে মোদী নিশানা করেন সিদ্দারামাইয়াকেই। বলেন, ‘ঘুষ ছাড়া এখানে কাজই হয় না। কর্নাটকে চলছে সিধা-রুপাইয়া সরকার।’’
মোদী ও রাহুল দু’জনেই আজ ছিলেন কর্নাটকে। তাঁদের ঝোড়া প্রচার গরম হয়ে উঠেছে ভোটের হাওয়া। বিদারে রাহুল বলেন, ‘‘মোদী ভয় পেয়ে ঘাবড়ে গিয়েছেন। ওঁর চরিত্রই হল, যখনই ঘাবড়ে যান, ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন। উল্টোপাল্টা বলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীকে কখনওই ব্যক্তিগত আক্রমণ করব না। প্রশ্ন করতেই পারি।’’ কর্নাটকের কৃষকদের আর্থিক সঙ্কট কাটাতে মোদীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাহুল। রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করে এনডিএ সরকারকে একেবারে ফেল করিয়ে দেন। কর্নাটকের কৃষির পরীক্ষায় মোদী সরকারকে ‘এফ’ গ্রেড দেন রাহুল। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ৮৫০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ মকুব করতে কর্নাটককে এক পয়সাও সাহায্য করেননি মোদী। চাষিরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও পাননি। সহায়ক মূল্যের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। মেলেনি। রাহুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় মার খেয়েছেন চাষিরাই। লাভ হয়েছে বিমা সংস্থাগুলির।
কালাবুর্গিতে এর জবাব দেন মোদী। বলেন, ‘‘ন্যূনতম সমর্থন মূল্য নিয়ে এম এস স্বামীনাথন কমিশনের রিপোর্টের উপর চেপে বসেছিল কংগ্রেসই। অবশ্য সেই পাপ তারা স্বীকার করে নেবে, সেটা আশা করা যায় না। তবে আমরা যখন রিপোর্ট মেনে নিয়েছি, তখন ওঁরা তো একটু চুপ করে বসেও থাকতে পারে।’’ সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়েও কংগ্রেসকে নিশানা করেন মোদী। বলেন, ‘‘জওয়ানদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নেই কংগ্রেসের। ২০১৬ সালে সেনা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করল, আর তার প্রমাণ চাইল কংগ্রেস।’’ মোদীর মন্তব্য, ‘‘কংগ্রেস হয়তো ভেবেছিল, সেনা জওয়ানরা এমন অভিযানে অস্ত্রের বদলে ক্যামেরা নিয়ে যাবেন।’’