PM Narendra Modi

তামিল ভাষা প্রসারের কাজ চলছে দেশ জুড়ে: প্রধানমন্ত্রী

তামিল ভাষাকে কেন্দ্র করে প্রায়শই দ্বৈরথে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে কেন্দ্র ও তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন সরকারকে। জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে তিন ভাষা পড়ানো বাধ্যতামূলক করে আসলে কেন্দ্র হিন্দি চাপিয়ে দিচ্ছে বলে তীব্র বিরোধিতায় সরব সে রাজ্যের শাসক ডিএমকে নেতৃত্ব।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:২৩
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।

গত এগারো বছরে তাঁর সরকার দেশের মধ্যে তামিল ভাষার কী ভাবে প্রচার-প্রসার করেছে তা আজ ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেবল দেশেই নয়, বিদেশের মাটিতেও কী ভাবে তামিল ভাষা নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে তা জানান মোদী। বছর ঘুরলেই পশ্চিমবঙ্গের মতো ভোট রয়েছে তামিলনাড়ুতে। পশ্চিমবঙ্গের মতোই তামিলনাড়ু এখনও অধরা বিজেপির কাছে। রাজনীতিকদের মতে, আজ তাই বর্ষশেষের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে তামিল ভাষা নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্য তুলে ধরে সে রাজ্যের জনমানসের পাশে যে কেন্দ্রের শাসক দল রয়েছে তা বোঝানোর চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

তামিল ভাষাকে কেন্দ্র করে প্রায়শই দ্বৈরথে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে কেন্দ্র ও তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন সরকারকে। জাতীয় শিক্ষা নীতির মাধ্যমে তিন ভাষা পড়ানো বাধ্যতামূলক করে আসলে কেন্দ্র হিন্দি চাপিয়ে দিচ্ছে বলে তীব্র বিরোধিতায় সরব সে রাজ্যের শাসক ডিএমকে নেতৃত্ব। ডিএমকে নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের মতে, এ ভাবে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া আসলে তামিল আত্মমর্যাদা ও ভাষাগত বৈচিত্র্যের পরিপন্থী। এমনকি তাঁর সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতি চালু না করায় কেন্দ্র শিক্ষা অভিযান খাতে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন তিনি। মোদী শিবিরের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তামিল অস্মিতার প্রশ্নে স্ট্যালিনের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন ওই রাজ্যে বিজেপির শরিক এডিএমকে নেতা কে পলানিস্বামী।

এই আবহে আজ তামিল ভাষার প্রসারে মোদী সরকার কতটা আন্তরিক সেই বার্তা দেওয়ার কৌশল নেন মোদী। রাজনীতিকদের মতে, তামিল ভাষা নিয়ে আবেগ উস্কে দিয়ে ডিএমকে নির্বাচনে জেতার ছক কষছে বুঝেই বিজেপি যে তামিল ভাষা বিরোধী নয় সেই বিষয়টি তুলে ধরেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘দেশের অভ্যন্তরে তামিল ভাষা প্রসারের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ হয়ে চলেছে।’’ উদাহরণস্বরূপ নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীর একটি অডিয়ো তুলে ধরে মোদী জানান, ‘‘ওই অডিয়োতে যারা তামিল বলছে তারা সকলেই হিন্দিভাষী ক্ষুদে পড়ুুয়া। কিন্তু তামিল ভাষার প্রতি তাদের আকর্ষণই এদের তামিল শিখতে অনুপ্রাণিত করেছে।’’ মোদী জানান, ফি বছর যে কাশী-তামিল সঙ্গম অনুষ্ঠান হয় তাতে তামিলের মতো ভারতের অন্যতম প্রাচীন ভাষা শিক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়। মোদীর দাবি, বারাণসীতে অন্তত ৫০টি স্কুলে তামিল শিক্ষার প্রশ্নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের পাশাপাশি ফিজি ও দুবাইয়ে তামিল শিক্ষায় জোর দিয়েছেন স্থানীয় ভারতীয়েরা। তিনি বলেন, ‘‘গত মাসে ফিজির রাকি-রাকি অঞ্চলের একটি স্কুলে প্রথম বার তামিল দিবস পালন করা হয়। দুবাইয়ে তামিল শিক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’ রাজনীতিকদের মতে, সব মিলিয়ে মোদী বোঝাতে চান, তামিলের সঙ্গে হিন্দির কোনও বিরোধ নেই।

আজ নিজের বক্তব্যে মণিপুরের একাধিক ব্যক্তিকেন্দ্রিক সাফল্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মোদী। প্রায় এক বছর হতে চলল মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে। মোটের উপরে রাজ্যের পরিস্থিতি শান্ত হলেও, মাঝে মধ্যেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটনা ঘটে চলেছে ওই রাজ্যে। আজ অন্তত তিন বার ওই রাজ্যের সাফল্যের প্রসঙ্গ তোলেন মোদী। বিরোধীদের মতে, আসলে মণিপুর যে শান্ত তা ওই সব উদাহরণ দিয়ে দেশবাসীকে বোঝাতে চেয়েছেন মোদী। তাঁদের প্রশ্ন, যদি সত্যিই মণিপুর শান্ত তা হয়, তাহলে কেন ওই রাজ্যে নির্বাচন করাতে ভয় পাচ্ছে কেন্দ্র?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন