প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার মধ্যরাত পেরিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছে ভারতীয় বাহিনী। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। নয়াদিল্লিতে রাত জেগে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর উপর কড়া নজর রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। আর ধারাবাহিক ভাবে তাঁকে পরিস্থিতি সম্পর্কে খবরাখবর দিয়ে গিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
সরকারি সূত্রে খবর, ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন নয়াদিল্লিতে রাত জাগছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। ঘটনাবলীর উপর কড়া নজর রাখছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ডোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এবং গোয়েন্দা দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত সেনাবাহিনী, নৌসেনা ও বায়ুসেনার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বেশ কয়েক দফায় কথোকথন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
সূত্রের খবর, পহেলগাঁও হামলার পরেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরিকল্পনা সারা হয়ে গিয়েছিল। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার জবাব পাকিস্তানকে ভারত নিজের পছন্দের সময়ে এবং পছন্দের স্থানে দেবে বলে নয়াদিল্লির তরফে আগেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হানে ভারতীয় বাহিনী। যদিও ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশ করা সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে কোনও শহরের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে মন্ত্রকের দাবি, যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে। এও জানানো হয়েছে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। যদিও ভারতের হামলার পরেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের এই হামলার পর চুপ থাকবে না পাকিস্তান। যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।