জয়ের রেশ ধরেই জন্মদিনে রোশনাই

উত্তরপ্রদেশের জয়ের রেশকে পুঁজি করে কেন্দ্রীয় সরকারের তিন বছর পূর্তির অনুষ্ঠানকে একটি ‘মেগা-ইভেন্টে’ পরিণত করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে তার আগে সরকার ও দলের রদবদলের কাজ সেরে ফেলতে চাইছেন মোদী ও অমিত শাহ।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৭ ০৩:৩৯
Share:

উত্তরপ্রদেশের জয়ের রেশকে পুঁজি করে কেন্দ্রীয় সরকারের তিন বছর পূর্তির অনুষ্ঠানকে একটি ‘মেগা-ইভেন্টে’ পরিণত করতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে তার আগে সরকার ও দলের রদবদলের কাজ সেরে ফেলতে চাইছেন মোদী ও অমিত শাহ। ২৬ মে, গোটা দেশে সরকারের তিন বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য ১২ জন মন্ত্রীকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লক্ষ্য, উত্তরপ্রদেশের জয়ের পরে লোকসভার ভিতকে আরও মজবুত করা। সরকারের কর্মসূচি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া। আর এই মেগা-ইভেন্টের মহড়া শুরু হয়ে যাবে ৬ এপ্রিল বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস থেকেই। ১৪ এপ্রিল অম্বেডকর জন্মবার্ষিকীতে দলিত-আবেগ উস্কে দিতেও একঝাঁক অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisement

লোকসভার প্রস্তুতিতে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তার জন্য সাংসদদের এখন থেকেই প্রস্তুত থাকতে বলছেন মোদী। আজ সকালেই সংসদীয় দলের বৈঠকে সাংসদদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অভিযোগ, বিজেপির অনেক সাংসদই সংসদে হাজির থাকেন না। এমনকী এই অনুপস্থিতির কারণে অনেক সময় সংসদের কাজও শুরু করা যায় না বলে বৈঠকে মন্তব্য করেছিলেন সংসদীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ক্ষোভ জানান মোদী। ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী সাংসদদের বলেন, ‘‘এমন চললে যে কোনও সময়ে আমি আপনাদের ফোন করতে পারি।’’ মোদীর মন্তব্য, ‘‘আমি আপনাদের জন্য অনেক কিছু করতে পারি। কিন্তু আপনাদের হয়ে সংসদে হাজিরা দিতে পারি না!’’ কঠোর ভাষায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, সংসদে উপস্থিত থাকতে সাংসদদের অনুরোধ করছেন না তিনি। কেননা, কয়েক লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে হাজির থাকাটা তাঁদের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে বলেই মনে করছেন।

এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, সাংসদদের কাজের উপর কড়া নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর মূল্যায়ণে পাশ না করলে সাংসদদের টিকিটও মিলবে না। দিল্লি পুরসভার ভোটের ক্ষেত্রে এমনটাই ভাবা হচ্ছে। জিতে আসা সিংহভাগ কাউন্সিলরকেই এ বার বদলে ফেলা হবে। বিজেপি সূত্রের মতে, এপ্রিলে সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই সরকার ও দলে রদবদল সেরে ফেলবেন মোদী ও অমিত শাহ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে মনোহর পর্রীকরকে গোয়ায় পাঠানোর পরে মন্ত্রিসভার রদবদল অনিবার্য হয়ে উঠেছে। বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, শিবরাজ সিংহ চৌহানের মতো মুখ্যমন্ত্রীদের দিল্লি আনার ভাবনা শুরু হয়েছে। কলরাজ মিশ্রের বয়স ৭৫ পেরোলেও উত্তরপ্রদেশের ভোটের কথা মাথায় রেখে তাঁকে মন্ত্রিসভায় রেখে দেওয়া হয়েছিল। এ বার তাঁকে কোনও রাজভবনে পাঠানো হতে পারে। মধ্যপ্রদেশ, মেঘালয়, তামিলনাড়ু, অরুণাচল, তেলঙ্গানাতেও পূর্ণ সময়ের রাজ্যপাল প্রয়োজন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নড্ডাকেও হিমাচলে দলের মুখ করে পাঠানোর কথা চলছে।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশে মন্ত্রী হওয়ার দৌলতে সিদ্ধার্থনাথ সিংহ, শ্রীকান্ত শর্মার শূ্ন্যস্থান পূরণ করতে হবে বিজেপি সভাপতিকে। লখনউ জয়ের পরে গুজরাতের ভোটও এগিয়ে আনার ভাবনা রয়েছে বিজেপিতে। গুজরাত ছেড়ে আসার পর সেখানে ইজ্জতের লড়াই মোদী-শাহের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন