পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি। রবিবার সকালে।- বিশ্বনাথ বণিক।
কালো এসইউভি গাড়িতে নিজের জুতোজোড়া খুলে রেখে ঝটপট নেমে পড়লেন তিনি।
তাঁকে দেখে খালি পায়ে ছুটে এলেন আইএএস অফিসার সুরেশ অগ্রবাল। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য প্রশাসক। যিনি ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই মূল মন্দিরের সিংহদুয়ারের সামনের বড় রাস্তা ‘বড় দাণ্ডে’ নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকি করতে গিয়ে খালি পায়ে ছোটাছুটি করছিলেন। জেলাশাসক, পুরীর কালেক্টর আর পুলিশের এসপি-র সঙ্গে। সকলেই খালি পায়ে।
তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে দেখে প্রায় ছুটতে ছুটতে পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের কূল-পাণ্ডা রঘুনাথ গোছিকর। ৬১ বছর ধরে তাঁর সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে।
পুরীর জগন্নাথ মন্দির। রবিবার সকালে। -বিশ্বনাথ বণিক।
ঘড়িতে কাঁটায় কাঁটায় দশটা পঞ্চান্ন। জগন্নাথ দর্শন করতে পুরীর মন্দিরে ঢুকে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। পৌঁছে গেলেন ‘মুক্তি মণ্ডপে’। প্রণাম সারলেন নত মস্তকে। তাঁকে দেখে ‘নমস্কার’ জানাতে সার
দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন সেবাইতরা। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা একটি মানপত্র দিলেন। সেখানে প্রণাম সেরে প্রধানমন্ত্রী গেলেন বিমলা ও মহালক্ষ্মী মন্দিরে। বিমলা কালীরই অন্য একটি রূপ। এর পর মূল মন্দিরের মাথায় ‘নীল চক্র’কে প্রণাম করেন প্রধানমন্ত্রী। গর্ভগৃহে ঢুকে স্পর্শ করেন সিংহাসন। সেখানে খামে ভরে তাঁর ‘প্রণামী’ও একটি বাক্সে রেখে আসেন।
প্রায় মিনিট কুড়ি মন্দিরের ভেতরে থাকার পরে বেরিয়ে আসার মুখে মোদীর সামনে এসে দাঁড়ান পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ‘শৃঙ্গারী’ ও ‘খুঁটিয়া’রা। তাঁদের হাত থেকে চন্দন আর তুলসি নেন মোদী।
ভুবনেশ্বরে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (নাইজার)-এর একটি ক্যাম্পাসের উদ্বাধন করেই এ দিন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। মিনিট কুড়ি পুরীর মন্দিরে কাটিয়ে তিনি রওনা হয়ে যান পারাদ্বীপে একটি তেল শোধনাগারের উদ্বোধন করতে।