CAA

এনআরসি-বিরোধী নেতারা ধৃত, প্রতিবাদ

এই সময়ে নজর অন্য দিকে থাকায় একের পর এক সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের নেতাকে গ্রেফতার করছে তারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা-সংক্রমণ রুখতে তালাবন্দি গোটা দেশ। তার মধ্যেও দিল্লি পুলিশ যে ভাবে একের পর এক সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের নেতাদের গ্রেফতার করছে, তার প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি জারি করল শিক্ষক এবং পড়ুয়াদের বিভিন্ন সংগঠন।

Advertisement

এই বিবৃতিতে সই রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধ্যাপকদের সংগঠন ফেডকুটা-র প্রেসিডেন্ট, জেএনইউয়ের শিক্ষক সংসদ জেএনইউটিএ-র প্রেসিডেন্ট, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষকদের সংগঠন জেটিএ-র সম্পাদক, ইন্ডিয়ান সোসাইটি অব লেবার ইকনমিক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট, জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদ জেএনইউএসইউয়ের সভাপতি-সহ ৪৬ জনের। অভিযোগ, মারণ অতিমারির আক্রমণের মুখে সারা দেশে এত বড় সঙ্কটের সময়েও বিরোধীদের স্তব্ধ করার লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি দিল্লি পুলিশ। বরং এই সময়ে নজর অন্য দিকে থাকায় একের পর এক সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের নেতাকে গ্রেফতার করছে তারা।

দিল্লির সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পিছনে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে কিছু দিন আগেই জামিয়ার পিএইচডি পড়ুয়া মীরন হায়দরকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে প্রথমে আটক এবং তার পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার মীরন হায়দরকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল দিল্লির একটি আদালত। মীরন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, দিল্লিতে আরজেডির যুব সংগঠনের সভাপতি তিনি। জামিয়া কোয়ার্ডিনেশন কমিটি মীরনের মুক্তির দাবি তুলেছে। আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা অভিযোগ করেছেন, ওই ছাত্র করোনা সংক্রমণের সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু দিল্লি পুলিশ ‘শীর্ষ মহলের নির্দেশে’ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছিল, জামিয়ার সামনে এবং শাহিনবাগে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ হওয়ার কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে মীরনকে। মাঝে সরকার-বিরোধী লেখার জন্য পুলিশের রোষে পড়তে হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এক জেএনইউ পড়ুয়াকে। তার পরে হালে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সফুরা জ়ারগর। যিনি সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন। সামলেছেন ওই লক্ষ্যে গড়া জয়েন্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্বও। বিবৃতিতে অবিলম্বে ওই সমস্ত নেতার মুক্তি দাবি করেছেন স্বাক্ষরকারীরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: খাবার নেই, লাঠির যন্ত্রণা লুকিয়েছেন পুলিশের ভয়ে

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন