ধরা পড়লেন ‘কমলা মিলস’ অগ্নিকাণ্ডে অভিযুক্ত অভিজিৎ মানকর। ৩০ বছর বয়সি এই হোটেল ব্যবসায়ীই ‘ওয়ান অ্যাবাভ’ রেস্তরাঁর মূল মালিক।
কমলা মিলস কম্পাউন্ডের ওই রেস্তরাঁয় ২৯ ডিসেম্বর পুড়ে মারা যান ১৪ জন। অভিযোগ, আগুন নেভানোর ব্যবস্থা ছাড়াই আইনের ফাঁক গলে চলছিল রেস্তরাঁটি। তা ছাড়া, আগুন লাগার পরে গ্রাহকদের বের করার চেষ্টা না করে পালিয়ে যান ম্যানেজার ও কর্মীরা। সেই দিন থেকেই ফেরার ছিলেন মালিক মানকার এবং সহ-মালিক কৃপেশ সঙ্ঘভি ও জিগর সঙ্ঘভি।
গতকাল রাতে মুম্বই পুলিশ অন্ধেরি থেকে সঙ্ঘভি ভাইদের গ্রেফতার করে। তাঁদের জেরা করে মানকারের খোঁজ পান গোয়েন্দারা। আজ ভোরেই মেরিন লাইনস থেকে মানকরকে গ্রেফতার করা হয়। মানকর ও সঙ্ঘভি ভাইদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোয়েন্দারা এখন ওই কম্পাউন্ডের রেস্তরাঁ ‘মোজো’স বিস্ত্রো পাব’-এর সহ-মালিক যুগ টুল্লি-র খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন। দমকল দফতরের দাবি, টুল্লি-র রেস্তরাঁতেই প্রথম আগুন লাগে। তার পর ছড়িয়ে যায় মানকারের রেস্তরাঁতে। টুল্লিও ঘটনার দিনই পালিয়ে গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার টুল্লিকে হায়দরাবাদের বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছিল। উড়ান ধরতে বাধাও দেওয়া হয় তাঁকে। তার পরই ফের উধাও হয়ে যান টুল্লি। হায়দরাবাদেই খোঁজ চলছে তাঁর। আদালতে টুল্লি-র অগ্রিম জামিনের শুনানি হবে। রায়
শুনে সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ। গত সপ্তাহেই মোজো রেস্তরাঁয় টুল্লির অংশীদার যুগ পাঠককে ধরা হয়। পাঠক পুণের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, বিশাল কারিয়া নামে আর এক হোটেল ব্যবসায়ী সঙ্ঘভি ভাই ও মানকরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। গ্রেফতার হয়েছেন তিনিও।
‘ওয়ান অ্যাবাভ’ রেস্তরাঁর মালিকদের খোঁজ দিলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা দায়ের হয়েছে।